রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল
পেছনে তাকালে কেন মূক হয়ে আসে ভাষা !মনে পড়ে সেই সব দুপুরের জলাভূমি,সেই সব বেতফল, বকুল কুড়ানো ভোর,আহা সেই রাঙাদির
দূরে আছো দূরে
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। যেভাবে
কথা ছিলো সুবিনয়
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত,রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখেরাখালিয়া বাজাবে বিশদ।কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও–এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া,
মা-র কাছে ফেরা
ওখানে ভীষণ খরায় ফসলের চরাচরে পাখা মেলে বোসেছে একবন্ধ্যার বাজপাখি, তার ঠোঁটের বিষ আমার রক্তের শহরে ঢুকেছেশত্রুসেনারা যেমন বিজয়গর্বে ঢোকে
বাতাসে লাশের গন্ধ
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাইআজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে-এদেশ কি ভুলে
কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প
তার চোখ বাঁধা হলো।বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা রক্তে একাকার হলো,জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝ’রে