শামসুর রাহমান
যদি তুমি ফিরে না আসো
তুমি আমাকে ভুলে যাবে, আমি ভাবতেই পারি না।আমাকে মন থেকে মুছে ফেলেতুমিআছো এই সংসারে, হাঁটছো বারান্দায়, মুখ দেখছোআয়নায়, আঙুলে জড়াচ্ছো
বারবার ফিরে আসে
বার বার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্টময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে,ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকাণ্ড চোয়ালে।হাওয়ায় হাওয়ায় ওড়ে, ঘোরে
আমার মৃত্যুর পরেও যদি
একটি পাখী রোজ আমার জানালায়আস্তে এসে বসে, তাকায় আশেপাশে।কখনো দেয় শিস, বাড়ায় গলা তার;আবার কখনোবা পাখাটা ঝাপটায়। পালকে তার আঁকা
কখনো আমার মাকে
সংসারে এসেও মা আমার সারাক্ষণছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূরজানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখলকোনোদিন। মাছ কোটা
উত্তর
তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো‘এই আকাশ আমার’কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা। সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই
পূর্বরাগ
জেনেছি কাকে চাই, কে এলে চোখে ফোটেনিমেষে শরতের খুশির জ্যোতিকণা;কাঁপি না ভয়ে আর দ্বিধার নেই দোলাএবার তবে রাতে হাজার দীপ
কোনো একজনের জন্য
এতকাল ছিলাম একা আর ব্যথিত,আহত পশুর অনুভবে ছেঁড়াখোঁড়া।দুর্গন্ধ-ভরা গুহাহিত রাত নিস্ফল ক্রোধে দীর্ণ,শীর্ণ হাহাকার ছাড়া গান ছিল না মনে,জানি প্রাণে
একটি ফটোগ্রাফ
‘এই যে আসুন, তারপর কী খবর?আছেন তো ভাল? ছেলেমেয়ে?’ কিছু আলাপের পরদেখিয়ে সফেদ দেয়ালের শান্ত ফটোগ্রাফটিকেবললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে–‘এই যে আমার
পন্ডশ্রম
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,আকাশ