শিক্ষক শ্রীচরণ

হাতে নিয়ে ডাস্টার আর শাদা চক
ক্লাশে এসে ঢুকতেন প্রিয় শিক্ষক।
জটিল অংক আর তার সমাধান
লিখতেন বোঝাতেন প্রতিটি বিধান।
কালো ‘ব্ল্যাক বোর্ডের’ কুচকুচে গা-য়
শাদা চকে লিখতেন শ্রীচরণ রায়।
পড়াতেন ‘নীতিকথা’ ‘দুর্নীতি রোধ’
অন্তরে জাগাতেন ন্যায় শুভ বোধ।
শেখাতেন মন্ত্রটা মানবিকতার
বলতেন নিতে হবে আগামীর ভার।
পড়াতেন বিজ্ঞান–পৃথিবীটা গোল
বোঝাতেন ইংরেজি সমাজ-ভূগোল।
দাগ টেনে বোঝাতেন বাতাসের বেগ
কোনটা বাস্তবতা কোনটা আবেগ
সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব কোথায়
অশুভের হাত থেকে বাঁচার উপায়
বাংলার ব্যাকরণ প্রত্যয়-কাল
পদ্য ও কবিতায় ছন্দের চাল
সাধু আর চলিতের বিপুল তফাৎ
মিশ্রণ দূষণীয়। কোথা সংঘাত…
পড়াতেন ইতিহাস শাসকের দান
হত্যা ও লুন্ঠন ও দখলের গান
নিষ্ঠুর শাসকের হত্যার হাট
মোঘল আমল তার যতো সম্রাট…
পড়াতেন ধর্ম ও তার যতো মীথ
আগামীর ইঙ্গিতে মুখর অতীত
বিকশিত সভ্যতা মানুষের দায়
তাঁর ঋজু ভঙ্গির বলিষ্ঠতায়
ক্লাশরুম হয়ে যেতো আলোর কুসুম
কখন কি প্রয়োজন জাগরণ ও ঘুম
ছাত্রছাত্রীদের মনন মেধায়
তিনি আলো ফেলতেন কী দক্ষতায়!
বিনিময়ে সামান্য আয় হতো তাঁর
তাই দিয়ে বাঁচাতেন দারা পরিবার
দরিদ্র শিক্ষক মলিন পোশাক
ঠিকমতো জুটতো না ভাত-ডাল-শাক
আলোহীন। কুপি জ্বলা তাঁর সংসার
মুখ বুজে বয়ে চলা জীবনের ভার!
শিক্ষক শ্রীচরণ আর অনটন–
পায়ে পায়ে হেঁটেছিলো সারাটা জীবন…!

শেয়ার করুনঃ

প্রাসঙ্গিক

আমি

আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ,
চুনি উঠল রাঙা হয়ে ।
আমি চোখ মেললুম আকাশে,
জ্বলে উঠল আলো
পুবে পশ্চিমে ।
গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম

বাকি অংশ »

ক্ষেত মজুরের কাব্য




মুগর উঠছে মুগর নামছে

ভাঙছে মাটির ঢেলা,

আকাশে মেঘের সাথে সূর্যের

জমেছে মধুর খেলা।



 ভাঙতে ভাঙতে বিজন মাঠের

কুয়াশা গিয়েছে কেটে,

কখন শুকনো মাটির তৃষ্ণা

শিশির

বাকি অংশ »

আত্মত্রাণ

বিপদে মোরে রক্ষা করো,এ নহে মোর প্রার্থনা-বিপদে আমি না যেন করি ভয়।দুঃখতাপে ব্যথিত চিতেনাই বা দিলে সান্ত্বনা,দুঃখে যেন করিতে পারি

বাকি অংশ »

সাম্প্রতিক সংযোজন

বনভূমির ছায়া

কথা ছিল তিনদিন বাদেই আমরা পিকনিকে যাব,বনভূমির ভিতরে আরও গভীর নির্জন বনে আগুন ধরাব,আমাদের সব শীত ঢেকে দেবে সূর্যাস্তের বড়

বাকি অংশ »

খিড়কি

খিড়কি ছিল পাশের বাড়িরখিড়কি ছিল মনেরখিড়কি ছিল যখন তখনখিড়কি কিছুক্ষণের । খিড়কি ছিল পথের পাশেহলুদ গাঁদাফুলের,খিড়কি ছিল আকাশ ভরামেঘের কালোচুলের

বাকি অংশ »
Scroll to Top