শিক্ষামুলক ছড়া/কবিতা
আমার পণ
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি ,সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে ,আমি যেন সেই কাজ
পুরাতন ভৃত্য
ভূতের মতন চেহারা যেমন, নির্বোধ অতি ঘোর।যা-কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, “কেষ্টা বেটাই চোর।’উঠিতে বসিতে করি বাপান্ত, শুনেও শোনে না কানে।যত
দুই বিঘা জমি
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।’কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী,
বোঝাপড়া
মনেরে আজ কহ যে,ভালো মন্দ যাহাই আসুকসত্যেরে লও সহজে।কেউ বা তোমায় ভালোবাসেকেউ বা বাসতে পারে না যে,কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ
সংশয়ী
কোথায় যেতে ইচ্ছে করেশুধাস কি মা , তাই ?যেখান থেকে এসেছিলেমসেথায় যেতে চাই ।কিন্তু সে যে কোন্ জায়গাভাবি অনেকবার ।মনে
শিক্ষক শ্রীচরণ
হাতে নিয়ে ডাস্টার আর শাদা চকক্লাশে এসে ঢুকতেন প্রিয় শিক্ষক।জটিল অংক আর তার সমাধানলিখতেন বোঝাতেন প্রতিটি বিধান।কালো ‘ব্ল্যাক বোর্ডের’ কুচকুচে
কাজের লোক
মৌমাছি, মৌমাছিকোথা যাও নাচি নাচিদাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনেযাই মধু আহরণেদাঁড়াবার সময় তো নাই। ছোট পাখি, ছোট
জীবন বিনিময়
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-পুত তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!চারিধারে তার শনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার। রাজ্যের
শিশুর পণ
এই করিনু পণমোরা এই করিনু পণফুলের মতো গড়ব মোরামোদের এই জীবন।হাসব মোরা সহজ সুখেগন্ধ রবে লুকিয়ে বুকেমোদের কাছে এলে সবারজুড়িয়ে
পারিব না
‘পারিব না’ একথাটি বলিও না আর,কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার।পাঁচজনে পারে যাহাতুমিও পারিবে তাহা,পার কি না পার কর যতন
উত্তম ও অধম
কুকুর আসিয়া এমন কামড়দিল পথিকের পায়কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটেবিষ লেগে গেল তাই।ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারাবিষম ব্যথায় জাগে,মেয়েটি তাহার তারি
সবার আমি ছাত্র
আকাশ আমায় শিক্ষা দিলউদার হতে ভাই রে,কর্মী হবার মন্ত্র আমিবায়ুর কাছে পাই রে। পাহাড় শিখায় তাহার সমান-হই যেন ভাই মৌন-মহান,খোলা