শিক্ষামুলক ছড়া/কবিতা
মানুষ জাতি
জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছেসে জাতির নাম মানুষ জাতি;এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিতএকই রবি শশী মোদের সাথী। শীতাতপ ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালাসবাই
প্রার্থী
হে সূর্য! শীতের সূর্য!হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়আমরা থাকি,যেমন প্রতীক্ষা ক’রে থাকে কৃষকদের চঞ্চল চোখ,ধানকাটার রেমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে। হে সূর্য,
প্রভাতী
ভোর হলো দোর খোলোখুকুমণি ওঠো রে!ঐ ডাকে যুঁইশাখেফুল-খুকি ছোট রে!খুকুমণি ওঠো রে!রবি মামা দেয় হামাগায়ে রাঙা জামা ঐ,দারোয়ান গায় গানশোনো
জীবনের হিসাব
বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটেমাঝিরে কন , “বলতে পারিস্ সূর্যি কেন ওঠে?চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?”বৃদ্ধ মাঝি অবাক
বন্দনা
বিশ্ব আঁধার ভেদিয়া করে বন্দনানবীন রক্ত তপন মহান আলোকে |গরজি গভীর স্বননে ধায় পারাবারচুমিতে চরণতল অতুল পুলকে!বনে উপবনে ফোটে কত
উদ্বোধন
বঙ্গের ছেলে-মেয়ে জাগো, জাগো, জাগো,পরের করুণা কেন শুধু মাগো—আপনারে বলে নির্ভর রাখোহবে জয় নিশ্চয়—চারিদিকে হেরো কী দুঃখ-দুর্দিন,কত ভাই বোন অন্ন-বস্ত্র-হীন,সোনার
মনুষ্যত্ব
একদিন লিখেছিনু আদর্শ যে হবে“কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে” |আজ লিখিতেছি বড় দুঃখ লয়ে প্রাণেতোমরা মানুষ হবে কাহার
আদর্শ ছেলে
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবেকথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন“মানুষ হইতে
ওস্তাদের কদর
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলবী দিল্লীর।একদা প্রভাতে গিয়াদেখেন বাদশাহ,শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়াঢালিতেছে বারি গুরুর চরণেপুলকিত হৃদে আনত নয়নে –শিক্ষক
মানুষ কে?
নিয়ত মানসধামে একরূপ ভাব।জগতের সুখ-দুখে সুখ দুখ লাভ।।পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ।সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের কোষ।।নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ।রাজ্যের কুশলকার্যে সদা
পরোপকার
নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,কাষ্ঠ, দগ্ধ হয়ে,
বিনয়
বিজ্ঞ দার্শনিক এক আইল নগরে,ছুটিল নগরবাসী জ্ঞান-লাভ তরে;সুন্দর-গম্ভীর-মূর্তি, শান্ত-দরশন,হেরি সবে ভক্তি ভরে বন্দিল চরণ।সবে কহে, “শুনি, তুমি জ্ঞানী অতিশয়,দু’একটি তত্ত্ব-কথা