আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
মানবানল
আগুন আর কতোটুকু পোড়ে ?সীমাবদ্ধ ক্ষয় তার সীমিত বিনাশ,মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালি সন্ত্রাস। আগুন পোড়ালে তবু কিছু
বেদনা বোনের মত
একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলামশুধু আমাকেই দেখা যায়,আলোর প্রতিফলন প্রতিসরণের নিয়ম না জানা আমিসেই থেকে আর কোনদিন আয়না দেখি না।
পরানের পাখি
পরানের পাখি তুমি একবার সেই কথা কও,আমার সূর্যের কথা, কাঙ্খিত দিনের কথা,সুশোভন স্বপ্নের কথাটা বলো,–শুনুক মানুষ। পরানের পাখি তুমি একবার
নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী
পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো বলেমনে পড়ে একদিন জীবনের সবুজ সকালেনদীর উলটো জলে সাঁতার দিয়েছিলাম। পতন দিয়েই আমি পতন ফেরাবো
প্রতিমা
প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।বেদনার করুণ কৈশোর থেকে তোমাকে সাজাবো বলেভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরামতুমি তার কিছু
তুমি ডাক দিলে
একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল,কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার। তুমি ডাক দিলেনষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছেশব্দের
আমার সকল আয়োজন
আমার শৈশব বলে কিছু নেইআমার কৈশোর বলে কিছু নেই,আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার।দুঃখ তো আমার হাত–হাতের আঙুন–আঙুলের নখদুঃখের নিখুঁত চিত্র
অমিমাংসিত সন্ধি
তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো?পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখোহাত বাড়িয়ে হাত
অস্ত্র সমর্পণ
মারণাস্ত্র মনে রেখো ভালোবাসা তোমার আমার।নয় মাস বন্ধু বলে জেনেছি তোমাকে, কেবল তোমাকে।বিরোধী নিধন শেষে কতোদিন অকারণেতাঁবুর ভেতরে ঢুকে দেখেছি
যেভাবে সে এলো
অসম্ভব ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ছিলো,সামনে যা পেলো খেলো,যেন মন্বন্তরে কেটে যাওয়া রজতজয়ন্তী শেষেএসেছে সে, সবকিছু উপাদেয় মুখে।গাভিন ক্ষেতের সব ঘ্রাণ
ফেরিওয়ালা
কষ্ট নেবে কষ্টহরেক রকম কষ্ট আছেকষ্ট নেবে কষ্ট ! লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্টপাথর চাপা সবুজ ঘাসের
অহংকার
বুকের সীমান্ত বন্ধ তুমিই করেছোখুলে রেখেছিলাম অর্গল,আমার যুগল চোখে ছিলো মানবিক খেলাতুমি শুধু দেখেছো অনল। তুমি এসেছিলে কাছে, দূরেও গিয়েছো