কামাল চৌধুরী
অন্ধকার
গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দেজেগে উঠলাম আবার ;তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়াগুটিয়ে নিয়েছে
তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও
তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও — আমি এই বাংলার পারের’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে;দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের সন্ধ্যায়
দুজন
‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন – কতদিন আমিও তোমাকেখুঁজি নাকো; – এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পুথিবীর পারেআমরা
নগ্ন নির্জন হাত
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছেঅথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,সেই
শঙ্খমালা
কান্তারের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার আঁধারেসে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে,বলিল , তোমারে চাই :বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার
হাওয়ার রাত
গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল— অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;সারা-রাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনও মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো,কখনও
ঘাস
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়পুথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস-তেমনি সুঘ্রাণ-হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিচ্ছে।আমারো
তোমাকে ভালবেসে
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বলএই জীবনের পদ্মপাতার জল;তবুও এ-জল কোথা থেকে এক নিমিষে এসেকোথায় চ’লে যায়;বুঝেছি আমি তোমাকে ভালোবেসেরাত ফুরোলে পদ্মের
সহজ
আমার এ গানকোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে–আজ রাত্রে আমার আহ্বান ভেসে যাবে পথের বাতাসে–তবুও হৃদয়ে গান আসে!ডাকিবার ভাষা তবুও ভুলি
একুশ আগুন রঙের পাখি
একুশ কি মা ?একুশ ?একুশ একটা পাখির জন্মদিন ।পাখি !ওর কি নাম ? কি রঙ ?ওর নাম বাংলা ভাষা ।আর
যদি কেউ বলত
এই বর্ষায় হাতে কদম দিয়েযদি কেউ ভালোবাসি বলতকেউ যদি দেখে জ্বলে? তবে তার ইচ্ছে,সে জ্বলত। যদি হাওয়া আসত, উড়িয়ে দিত
মেয়েটা শিকল ভেঙে বেশ করেছে
আমি ভাবছি, যদি মেয়েরা মা নামের টিপ,স্ত্রী নামের শিকল, মেয়ে নামের হাতঘড়ি,বোন নামের চুড়ি-টুড়ি খুলেএকদিন দুম করে বলে ফেলে,‘আমরা কারো