কামাল চৌধুরী
স্মাইল প্লিজ
স্মাইল প্লিজ, আপনারা প্রত্যেকেই একটু হাসুন,দয়া করে তাড়াতাড়ি, তা না হলে রোদ পড়ে গেলেআপনারা যে রকম চাইছেন তেমন হবে না,তেমন
তিনি আমার ছায়া
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখি।চুল আঁচড়াই,দাড়ি কামাই,কখনও নিজেকে ভাল করে দেখি,ফিসফিস করে নিজেকে জিজ্ঞাসা করি,‘কেমন আছ, তারাপদ?’কখনও কখনও নিজেকে বলি,‘ছেষট্টি
প্রিয়তমাসু
অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,ক্রমশ একটা
এখন
মনে নেই,আমি নিজে ফিরে গিয়েছিলাম, অথবাতোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম,এখনআর কিছু মনে নেই, তবু দুঃখ হয়এখন, যখন একেকদিন খুব বৃষ্টি নেমে আসেএখন,
হাজার বছরের বিজয়
আমি হাজার বছরের স্পন্দিত বিজয় দেখেছিগাঙ্গের বদ্বীপের পলোল মাটির লাল-সবুজেবিজয় এসেছে রক্তের ফিনকিতে ভেজা পথেযে পথে হেঁটেছি আমরা এবং আমাদের
১০ জানুয়ারি ১৯৭২
যেদিন তিনি ফিরে আসলেন, সেদিনশীতার্ত আলো হাওয়ার মধ্যে ঋতুবদল হলো স্বদেশেরঝরাপাতায় জেগে উঠল বসন্তশাখায় শাখায় ফুটে উঠল পাতালক্ষ কোটি মানুষের
একাত্তর
আমাদের গ্রামগুলো আকাশের অবারিত মেঘআমাদের বাড়িগুলো পলাশের শিমুলের বাড়িআমরা নদীর বুকে কুপি জ্বেলে, গ্রহ-তারা জ্বেলেজেলে-নৌকা, ভাটিয়ালি, উজানের গান হতে পারি।আমরা
যুদ্ধ
এই একটি গল্প সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছেতোমারও সীমানা জানা নেইঅস্ত্রের পরেও আমি গম রুটি নিয়ে যুদ্ধ করতে শিখে গেছিকারণ যা ঘটবে,
বিপরীত বর্ষা
মেঘের সঙ্গে কথা হবে ভয়ানকচূড়ান্তরূপ বোঝাপড়া হবে আজমেয়েটিকে যদি কাঁদাতেই হবে তবেবৃষ্টিকে কেন শিখিয়েছে কারুকাজ? আকাশের সাথে আজ হবে একহাতদিগন্তে
যে মেয়েটি চলে গেছে
ঐ টুকু তার চাওয়া ছিলএক চিলতের দাওয়াশিউলি শরৎ ছটফটে মেঘসারা আকাশ ছাওয়াযেতে গিয়েও থমকে যাওয়াপ্রানের কুটুমজনঘর পেরিয়ে ধান ভরা মাঠসবুজ
আজ চৈতালি পূর্ণিমা!
চাঁদ উঠছে, ভয়ের অন্ধকার দূরকরা এক বিশাল রুপোর থালাথেকে গলে গলে নামছে, আহা,ভালোবাসার চন্দ্রমা–কানের কাছে বিরক্তিকর বেজে ওঠা কাঁসর ঘন্টা,ধানিপটকাগুলো
আঠারো আনার শেষে
বেপরোয়া মনে ভরা প্লাবনের শুধু ছারখার ঢেউ,কিন্তু রাধার যন্ত্রণা বোঝে? কৃষ্ণ নামের কেউ?কৃষ্ণ এখন আঘাটা পেরিয়ে জনপ্রতিনিধি হবে,শেষরাতে ভীরু চাঁদের