কামাল চৌধুরী
ঘুম ভাঙার পর
ঘুম ভাঙার পর যেন আমার মন ভালো হয়ে যায়।হলুদ-তেল মাখা একটি সকাল,ঝর্নার জলে বৃষ্টিপাতের মতন শব্দঝুল বারান্দার সামনের বাগানে কেউ
চে গুয়েভারার প্রতি
চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়।আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে, বুকের ভেতরটা ফাঁকাআত্মায় অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপতনের শব্দশৈশব থেকে বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাসচে,
পাহাড় চূড়ায়
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।যদি তার দেখা পেতাম,দামের জন্য আটকাতো না।আমার
জন্ম হয় না, মৃত্যু হয় না
আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় নামৃত্যু হয় না –কেননা আমি অন্যরকম ভালোবাসার হীরের গয়নাশরীরে নিয়ে জন্মেছিলাম।আমার কেউ নাম রাখেনি, তিনটে-চারটে
আরও নিচে
সিংহাসন থেকে একটু নিচে নেমে, পাথরেরসিঁড়ির উপর বসে থাকিএকা, চিবুক নির্ভরশীলচোখ লোকচক্ষু থেকে দূরে।‘সম্রাটের চেয়ে কিছু কম সম্রাটত্ব’ থেকে ছুটি
কাজলা দিদি
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,মাগো আমার শোলক বলা কাজলা-দিদি কই?পুকুর ধারে লেবুর তলে,থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,ফুলের গন্ধে ঘুম আসে
তুমি যেখানেই যাও
তুমি যেখানেই যাওআমি সঙ্গে আছি।মন্দিরের পাশে তুমি শোনো নি নিঃশ্বাস?লঘু মরালীর মতো হাওয়া উড়ে যায়জ্যোৎস্না রাতে নক্ষত্রেরা স্থান বদলায়ভ্রমণকারিণী হয়ে
বহুদিন পর প্রেমের কবিতা
বুকের ভিতরে যেন মুচড়ে উঠলো একুশে এপ্রিলএকুশে এপ্রিল, ওকি চুলের ভিতরে কার ক্ষীণ বজ্রমুষ্টি?বিষম লোভের মধ্যে ছুটোছুটি – দূর শহর,
যদি নির্বাসন দাও
যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবোআমি বিষপান করে মরে যাবো ।বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশনদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘপ্রান্তরে দিগন্ত
এখনো সময় আছে
তখন তোমার বয়স আশী, দাঁড়াবে গিয়ে আয়নায়নিজেই ভীষণ চমকে যাবে, ভাববে এ কে ? সামনে এ কোন ডাইনী ?মাথা ভর্তি
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি
আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশএই কী মানুষজন্ম? নাকি শেষপুরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা! প্রতি সন্ধ্যেবেলাআমার বুকের
কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনিছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলশুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু