কামাল চৌধুরী
এমন ভেঙ্গে চুরে ভালো কেউ বাসেনি আগে
কী হচ্ছে আমার এসব!যেন তুমি ছাড়া জগতে কোনও মানুষ নেই, কোনও কবি নেই, কোনও পুরুষ নেই, কোনওপ্রেমিক নেই, কোনও হৃদয়
দুঃখপোষা মেয়ে
কান্না রেখে একটুখানি বসদুঃখ-ঝোলা একেক করে খোল…দেখাও তোমার গোপন ক্ষতগুলোএ ক’দিনে গভীর কতো হল।ও মেয়ে, শুনছ !বাইরে খানিক মেলে দাও
যদি বাসোই
তুমি যদি ভালোই বাসো আমাকে, ভালোই যদি বাসো,তবে বলছো না কেন যে ভালো বাসো!কেন সব্বাইকে জানিয়ে দিচ্ছ না যে ভালোবাসো!আমার
তালাকনামা
যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি আর আমার থাকো নাতুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ। যে কোনও শরীরে গিয়েশকুনের মতো খুঁটে খুঁটে
মুক্তি
যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে
প্রলাপ
একদিন সমুদ্রের কাছে গিয়ে একটা ঘর বাঁধবোমাঝে মধ্যে ইচ্ছে হয় পাহাড়ের কাছে। অমন একলা নির্বাসনের আকাশ চুয়ে শূন্যতার কুয়াশা নামলেঅথৈ
হাত
আবার আমি তোমার হাতে রাখবো বলে হাতগুছিয়ে নিয়ে জীবনখানি উজান ডিঙি বেয়েএসেছি সেই উঠোনটিতে গভীর করে রাতদেখছ না কি চাঁদের
সময়
রাত তিনটেয় ঘুম ভেঙে গেলে এখন আর বিরক্ত হই নারাতে ভালো ঘুম না হলে দিনটা ভাল কাটে না – এমান
অভিমান
কাছে যতটুকু পেরেছি আসতে, জেনোদূরে যেতে আমি তারো চেয়ে বেশী পারি।ভালোবাসা আমি যতটা নিয়েছি লুফেতারো চেয়ে পারি গোগ্রাসে নিতে ভালোবাসা
বড় ভয়ে গোপনে গোপনে বাঁচি
মানুষের চরিত্রই এমনবসলে বলবে না, বসো নাদাঁড়ালে, কি ব্যাপার হাঁটোআর হাঁটলে, ছি: বসো।শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,না শুলে
যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন
আমার জন্য অপেক্ষা করো মধুপুর নেত্রকোনাঅপেক্ষা করো জয়দেবপুরের চৌরাস্তাআমি ফিরব। ফিরব ভিড়ে হট্টগোল, খরায় বন্যায়অপেক্ষা করো চৌচালা ঘর, উঠোন, লেবুতলা,গোল্লাছুটের
চরিত্র
তুমি মেয়ে,তুমি খুব ভাল করে মনে রেখোতুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবেলোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবেলোকে তোমার