কামাল চৌধুরী
আমি অপেক্ষা ক’রছি
আমি তাঁকে দেখার জন্য ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলামপ্রাণময় উজ্জ্বল দিনটি ছিলো মার্চ মাসের ১৭ তারিখমধুমতীর খুব তাড়া ছিলো ব’লে জোর
মাছরাঙা, কৃষ্ণচূড়া আর মঞ্জুমালা
তোমাকে ভালোবাসবো ব’লে মাছরাঙা ধ’রেরেখেছিলাম খাঁচায়, আশায় একটি কৃষ্ণচূড়া পুঁতেছিলাম টবেচুম্বনো ভরাবো ঠোঁট — ডানায় কী ডালেশক্তপোক্ত ঋতুবাস হবেমঞ্জুমালা তুমি
পথের বাঁকে
: এই যে শুনছেন -: আমাকে বলছেন? : আপনি ছাড়া তো আর কাউকে দেখছি না এখানে। -: দেখা বিষয়টা আপেক্ষিক।
পথের বাঁকে – ২
ছেলেঃ এই যে শুনছেন?মেয়েঃ আপনি! কি সৌভাগ্য আমার। মেঘ না চাইতেই জল! আপনি তো বলেছিলেন, আপনাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য, পথের
নারীপাঠ পুরুষপাঠ
নারীপাঠঃ আপনি যখন আমার সামনে ওর গল্প করেন,মাঝে মাঝে হো হো করে হাসেন, দেখে আমার কষ্ট হয়। শুনেছি এক সাথে
দূরে উড়ে শঙ্খচিল
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে যায় প্রসন্ন বিকেলভিজে যায় বৃক্ষের বুক, অপরাজেয় বাংলারতিন মূর্তিমান প্রতীক, কলাভবনের শরীরতখন করিডোরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে…
মুকুট
এখন পাকুড়গাছে সম্পূর্ণ নূতন পাতা, তার সঙ্গে বিবাহিত এইবটগাছে লাল লাল ফল ফলে আছে।চারিদিকে চিরকাল আকাশ থাকার কথা,আছে কিনা আমি
চাদেঁর গুহার দিকে
চাদেঁর গুহার দিকে নির্নিমেষে চেয়ে থাকি, মেঝের উপরেদাড়িয়েঁ রয়েছে চাঁদ, প্রকাশ্য দিনের বেলা, স্পষ্ট দেখা যায়চাদেঁর গুহার দিকে নির্নিমেষে চেয়ে
চিল্কায় সকাল
কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায়কেমন করে বলি।কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর,যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত
নদী-স্বপ্ন
কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না! দুটোকথা শোন দিকিএই নাও- এই চকচকে ছোটো, নুতন রূপোর সিকিছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে, তোমারে
দুর্গোৎসব
১ বর্ষে বর্ষে এসো যাও এ বাঙ্গালা ধামেকে তুমি ষোড়শী কন্যা, মৃগেন্দ্রবাহিনি?চিনিয়াছি তোরে দুর্গে, তুমি নাকি ভব দুর্গে,দুর্গতির একমাত্র সংহারকারিণী
আদর
১ মরুভূমি মাঝে যেন, একই কুসুম,পূর্ণিত সুবাসে।বরষার রাত্রে যেন, একই নক্ষত্র,আঁধার আকাশে ||নিদাঘ সন্তাপে যেন, একই সরসী,বিশাল প্রান্তরে।রতন শোভিত যেন,