কামাল চৌধুরী
বাজার দর
বাড়ছে দামঅবিরামচালের ডালের তেলের নুনেরহাঁড়ির বাড়ির গাড়ির চুনেরআলু মাঙ্গা বালু মাঙ্গা,কাপড় কিনতে লাগে দাঙ্গা,উঠছে বাজার হু-হু করে সব কিছুর-আঁকের শাকের
প্রলেতারিয়েত
যতক্ষণ তুমি কৃষকের পাশে আছো,যতক্ষণ তুমি শ্রমিকের পাশে আছো,আমি আছি তোমার পাশেই।যতক্ষণ তুমি মানুষের শ্রমে শ্রদ্ধাশীলযতক্ষণ তুমি পাহাড়ী নদীর মতো
মানুষের হৃদয়ে ফুটেছি
গতকাল ছিল কালো-লালে মেশাএকটি অদ্ভুত টুনটুনি ।লাফাচ্ছিল ডাল থেকে ডালে,পাতার আড়ালে, ফুল থেকে ফুলে । তার সোনামুখী ঠোঁট, যেনকলমের ডগায়
সেই প্রজাপতি
ফুলের মতো দেয়ালটাতেএকটি প্রজাপতি,দুঃসাহসে বসলো এসেআলোর মুখোমুখি;চিত্রিত নয় কালো রঙেরপাখনা দু’টি মেলে ।এবার বুঝি এলে ? দেয়াল জুড়ে লাগল তারঘরে
বসন্ত বন্দনা
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে,হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরেবনের কুসুমগুলি ঘিরে । আকাশে মেলিয়া আঁখিতবুও ফুটেছে জবা,–দূরন্ত
তোমার চোখ এতো লাল কেন?
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাইকেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য
আগ্নেয়াস্ত্র
পুলিশ স্টেশনে ভিড়,আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিচ্ছে শহরেরসন্দিগ্ধ সৈনিক। সামরিক নির্দেশে ভীত মানুষেরশটগান, রাইফেল, পিস্তল এবং কার্তুজ, যেন দরগারস্বীকৃত মানৎ; টেবিলে ফুলের
হুলিয়া
আমি যখন বাড়িতে পৌঁছলুম তখন দুপুর,আমার চতুর্দিকে চিকচিক করছে রোদ,শোঁ শোঁ করছে হাওয়া।আমার শরীরের ছায়া ঘুরতে ঘুরতে ছায়াহীনএকটি রেখায় এসে
মানুষ
আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় । আমি
ওটা কিছু নয়
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ? পাচ্ছো না ?একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।এইবার হাত দাও, টের
যাত্রা-ভঙ্গ
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে,মন বাড়িয়ে ছুঁই,দুইকে আমি এক করি নাএক কে করি দুই৷ হেমের মাঝে শুই না যবে,প্রেমের মাঝে
এবারই প্রথম তুমি
ভুলে যাও তুমি পূর্বেও ছিলেমনে করো এই বিশ্ব নিখিলেএবারই প্রথম তুমি৷ এর আগে তুমি কোথাও ছিলে নাছিলে না আকাশে, নদী