আমি যদি হতাম বনহংস,বনহংসী হতে যদি তুমি;কোনো এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদীর ধারেধানক্ষেতের কাছেছিপছিপে শরের ভিতরএক নিরালা নীড়ে; তাহলে আজ এই

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরেস্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে !স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম

গানের সুরের মতো বিকেলের দিকের বাতাসেপৃথিবীর পথ ছেড়ে – সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজেহৃদয় ভাসিয়া যায়,- সেখানে সে কারে ভালোবাসে !-পাখির

শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে-বলিলামঃ ‘ একদিন এমন সময়আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়;পঁচিশ বছর পরে

তারপর একদিন উজ্জ্বল মৃত্যুর দূত এসেকহিবে: তোমারে চাই-তোমারেই, নারী;এই সব সোনা রুপা মসলিন যুবাদের ছাড়িচলে যেতে হবে দূর আবিষ্কারে ভেসে।বলিলাম;

ফিরে এসো সমুদ্রের ধারে,ফিরে এসো প্রান্তরের পথে;যেইখানে ট্রেন এসে থামেআম নিম ঝাউয়ের জগতেফিরে এসো; একদিন নীল ডিম করেছ বুনন;আজও্তারা শিশিরে

শোনা গেল লাশকাটা ঘরেনিয়ে গেছে তারে;কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারেযখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদমরিবার হল তার সাধ।বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও

হে মৃত্যু,তুমি আমাকে ছেড়ে চলছ ব’লে আমি খুব গভীর খুশি?কিন্তু আরো খানিকটা চেয়েছিলাম;চারি দিকে তুমি হাড়ের পাহাড় বানিয়ে রেখেছে;–যে ঘোড়ায়

সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়োনাকো তুমি,বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;ফিরে এসো সুরঞ্জনা:নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;ফিরে এসো

ধারাস্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়।বসতি যাদবানন্দ করেন তথায়।।ভট্টাচার্য্য বংশে জন্ম, অঞ্জনা ঘরণী।বাঁশের পাল্লায় তালপাতার ছাউনি।।ঘট বসাইয়া সদা পূজে মনসায়।কোপ করি

আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে,ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।লক্ষ আশা অন্তরেঘুমিয়ে আছে মন্তরেঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাঁপড়ি-পাতার

বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-পুত তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!চারিধারে তার শনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার। রাজ্যের