কামাল চৌধুরী
প্রেমের কবিতা
আমাদের সেই কথোপকথন, সেই বাক্যালাপগুলি টেপ করে রাখলে পৃথিবীর যে-কোনো গীতি কবিতার শ্রেষ্ঠ সঙ্কলন হতে পারতো; হয়তো আজ তার কিছুই
মন ভালো নেই
বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা সারাদিন ডাকি সাড়া নেই, একবার ফিরেও চায়
বিদায়
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও।তারি রথ নিত্যই উধাওজাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন,চক্রে-পিষ্ট আঁধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কালজড়ায়ে ধরিল
ভীরুতা
গভীর সুরে গভীর কথাশুনিয়ে দিতে তোরেসাহস নাহি পাই।মনে মনে হাসবি কিনাবুঝব কেমন করে?আপনি হেসে তাইশুনিয়ে দিয়ে যাই–ঠাট্টা করে ওড়াই সখী,নিজের
মিলন
জীবন-মরণের স্রোতের ধারাযেখানে এসে গেছে থামিসেখানে মিলেছিনু সময়হারাএকদা তুমি আর আমি।চলেছি আজ একা ভেসেকোথা যে কত দূর দেশে,তরণী দুলিতেছে ঝড়ে–এখন
শেষ বসন্ত
আজিকার দিন না ফুরাতেহবে মোর এ আশা পুরাতে–শুধু এবারের মতোবসন্তের ফুল যতযাব মোরা দুজনে কুড়াতে।তোমার কাননতলে ফাল্গুন আসিবে বারম্বার,তাহারি একটি
পূর্ণতা
১স্তব্ধরাতে একদিননিদ্রাহীনআবেগের আন্দোলনে তুমিবলেছিলে নতশিরেঅশ্রুনীরেধীরে মোর করতল চুমি–“তুমি দূরে যাও যদি,নিরবধিশূন্যতার সীমাশূন্য ভারেসমস্ত ভুবন মমমরুসমরুক্ষ হয়ে যাবে একেবারে।আকাশবিস্তীর্ণ ক্লান্তিসব শান্তিচিত্ত
প্রথম চুম্বন
স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি–বন্ধ করি দিল গান যত ছিল পাখি।শান্ত হয়ে গেল বায়ু, জলকলস্বরমুহূর্তে থামিয়া গেল, বনের
ধ্যান
নিত্য তোমায় চিত্ত ভরিয়াস্মরণ করি,বিশ্ববিহীন বিজনে বসিয়াবরণ করি;তুমি আছ মোর জীবন মরণহরণ করি।তোমার পাই নে কূল–আপনা-মাঝারে আপনার প্রেমতাহারো পাই নে
স্মৃতি
ওই দেহ-পানে চেয়ে পড়ে মোর মনেযেন কত শত পূর্বজনমের স্মৃতি।সহস্র হারানো সুখ আছে ও নয়নে,জন্ম-জন্মান্তের যেন বসন্তের গীতি।যেন গো আমারি
এক গাঁয়ে
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকিসেই আমাদের একটিমাত্র সুখ,তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক। তাহার দুটি পালন-করা
অনন্ত প্রেম
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছিশত রূপে শত বারজনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়গাঁথিয়াছে গীতহার,কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,নিয়েছ সে উপহারজনমে