কামাল চৌধুরী
জন্মভূমি
হউক সে মহাজ্ঞানী মহা ধনবান,অসীম ক্ষমতা তার অতুল সম্মান,হউক বিভব তার সম সিন্ধু জলহউক প্রতিভা তার অক্ষুণ্ন উজ্জ্বলহউক তাহার বাস
তুমি যে আমার কবিতা
তুমি যে আমার কবিতাআমার বাঁশীর রাগিনীআমার স্বপ্ন আধ-জাগরণচিরদিন তোমারে চিনি।। আমি কে তোমার যদি জানতেতবে কি আমায় কাছে টানতেহয়ত সুদূরে
বর্ণমালা
অপমানে তুমি বলে উঠেছিলেসেদিন বর্ণমালাসেই থেকে শুরু দিন বদলের পালা।নতুন মন্ত্রে ভরেছিল অঞ্জলিআর নয় ভীরু স্বপ্নের পদাবলীকণ্ঠে তোমার বেজেছিল গান
হাতের কাকন ফেলেছি খুলে
হাতের কাকন ফেলেছি খুলে কাজল নেই চোখেতবু তোমার কাছে যাব যা বলে বলুক লোকে।। যখন তুমি আসবে বলে ছিলেম দিশেহারাবাতাসে
কবি
ঈশ্বর আপনিও কবি, কবিদের অনেকেই এরকম বলে।কেননা আপনার হাত পাহাড়ে সূর্যাস্ত আঁকেআকাশের বিস্তৃত পাতায়পাখিদের চোখের পাতায় নক্ষত্রের স্বপ্ন লিখে রাখেএবং
ছবি
আপনাদের সবার জন্যে এই উদার আমন্ত্রণছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান।অবশ্য উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো মনোহরী স্পট আমাদের নেই,কিন্তু তাতে
ঈশ্বরকে ইভ
আমিই প্রথম জেনেছিলাম উত্থান যা তারই ওপিঠ অধঃপতন! আলোও যেমন কালোও তেমন তোমার সৃজন জেনেছিলাম আমিই প্রথম। তোমায় মানা বা
অপমানের জন্য ফিরে আসি
অপমানের জন্য বার বার ডাকেন ফিরে আসি আমার অপমানের প্রয়োজন আছে! ডাকেন মুঠোয় মরীচিকা রেখে মুখে বলেন বন্ধুতার_বিভূতি__ আমার মরীচিকার
আমি সেই মেয়েটি
আমি সেই মেয়েটিসেই মেয়ে যার জন্মের সময় কোন শাঁখ বাজেনি।জন্ম থেকেই যে জ্যোতিষীর ছকে বন্দীযার লগ্ন রাশি রাহু কেতুর দিশা
বোতাম
একটি ছেলে রোজ তার শাটের বোতাম হারিয়ে ফিরে আসতো বাড়ি আর একটি মেয়ে তার সুঁই সুতোয় লাগিয়ে দিতো আরেকটি নতুন
পরোপকার
নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,কাষ্ঠ, দগ্ধ হয়ে,
বিনয়
বিজ্ঞ দার্শনিক এক আইল নগরে,ছুটিল নগরবাসী জ্ঞান-লাভ তরে;সুন্দর-গম্ভীর-মূর্তি, শান্ত-দরশন,হেরি সবে ভক্তি ভরে বন্দিল চরণ।সবে কহে, “শুনি, তুমি জ্ঞানী অতিশয়,দু’একটি তত্ত্ব-কথা