কামিনী রায়

আসমানী


আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে

বাকি অংশ »

কৃপণ

আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেমগ্রামের পথে পথে,তুমি তখন চলেছিলেতোমার স্বর্ণরথে।অপূর্ব এক স্বপ্ন-সমলাগতেছিল চক্ষে মম-কী বিচিত্র শোভা তোমার,কী বিচিত্র সাজ।আমি মনে ভাবেতেছিলেম,এ

বাকি অংশ »

আত্মত্রাণ

বিপদে মোরে রক্ষা করো,এ নহে মোর প্রার্থনা-বিপদে আমি না যেন করি ভয়।দুঃখতাপে ব্যথিত চিতেনাই বা দিলে সান্ত্বনা,দুঃখে যেন করিতে পারি

বাকি অংশ »

এক গাঁয়ে

আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি।সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক।তাহার দুটি পালন-করা ভেড়াচরে

বাকি অংশ »

আমি কোনো আগন্তুক নই আহসান হাবীব

আসমানের তারা সাক্ষীসাক্ষী এই জমিনের ফুল, এইনিশিরাইত বাঁশবাগান বিস্তর জোনাকি সাক্ষীসাক্ষী এই জারুল জামরুল, সাক্ষীপুবের পুকুর, তার ঝাকড়া ডুমুরের ডালে

বাকি অংশ »

নিষিদ্ধ জার্নাল থেকে

ভোরের আলো এসে পড়েছে ধ্বংসস্তূপের ওপর।রেস্তোরাঁ থেকে যে ছেলেটা রোজপ্রাতরাশ সাজিয়ে দিত আমার টেবিলেরাস্তার মোড়ে তাকে দেখলাম শুয়ে আছে রক্তাপুত

বাকি অংশ »

মে-দিনের কবিতা

প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্যধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্যকাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া। চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,গান

বাকি অংশ »

মাতৃভূমি, কী যেন তোমার নাম ছিলো?

পাঠ্যবই থেকে অপমানে ঝরে পড়েগৌরবের পঙক্তিমালা—৭ই মার্চ প্রশ্ন করে ২৬শে মার্চকেতুমি কি শুনতে পাওজনসমুদ্রে জোয়ারের ধ্বনি?বাংলার বধির পাহাড়ওলজ্জায় নত হয়,সাগরের

বাকি অংশ »

ত্রাণ

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে, হে মঙ্গলময়,দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয় –লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয় আর।দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভারএই চির

বাকি অংশ »
Scroll to Top