কামিনী রায়
চোখের জল
মানুষের চোখ থেহে গড়িয়ে পড়া চোখের জলভালো লাগে না আমারসবচেয়ে বড় অপচয়ের নাম চোখের জলঅসহ্য, সরিয়ে নাও তোমার চোখ, আমি
ঘুষ
রবীন্দ্ররচনাবলীর নবম খন্ড দিয়ে চাপা দেওয়া সুইসাইড নোট,ছেলেকে লেখা । লিখে, হাতে ব্লেড নিয়েবাথরুমে ঢুকেছিলেন মাস্টারমশাইদুপুরবেলা কাজের লোক দরজার তলা
ছাত্রকে লেখা চিঠি
তুমি যেদিন প্রথম এসেছিলে আমার কাছেতোমার হাতে মায়াকভ্ স্কিআর চোখেসকালবেলার আলো বিহার থেকে ফিরে এসে তুমি আবার এলেগলা নামিয়ে, বাষ্প
এক কন্সটেবলের চিঠি
থানার বড়বাবু আমায় বলতো পাঁঠাছোটবাবু পেছনে লাথি মেরে বলতো,যা তো, সিগারেট নিয়ে আয়যেদিন মাইনে পেতাম, আমার দাদা এসেসব টাকা কেড়ে
আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত,এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়েআমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে । আপনারা বলতে পারেন, আমি
রূপম
রূপমকে একটা চাকরি দিন—এম. এ পাস, বাবা নেইআছে প্রেমিকা সে আর দু’-এক মাস দেখবে, তারপরনদীর এপার থেকে নদীর ওপারে গিয়ে
পলাশপুর
পলাশপুর থেকে পড়তে আসা ছেলেটির গলায় তুলসীর মালাপ্রথম ক্লাসের পর জিনস্ পরা একটি মেয়ের সে কী হাসি !রাত্রে ছেলেটি চিঠি
নিরুক্তি
আমারে তুমি ভালবাসো না ব’লে,দুঃখ আমি অবশ্যই পাই ;কিন্তু তাতে বিষাদই শুধু আছে,তাছাড়া কোন যাতনা, জ্বালা নাই ।। জনমাবধি প্রণয়বিনিময়েঅনেক
শাশ্বতী
শ্রান্ত বরষা, অবেলার অবসরে,প্রাঙ্গণে মেলে দিয়েছে শ্যামল কায়া ;স্বর্ণ সুযোগে লুকাচুরি-খেলা করেগগনে-গগনে পলাতক আলো-ছায়া।আগত শরৎ অগোচর প্রতিবেশে ;হানে মৃদঙ্গ বাতাসে
উটপাখী
আমার কথা কি শুনতে পাও না তুমি?কেন মুখ গুঁজে আছ তবে মিছে ছলে?কোথায় লুকাবে? ধূ ধূ মরুভূমি;ক্ষ’য়ে ক্ষ’য়ে ছায়া ম’রে
পরানের গহীর ভিতর-২৯
তোমারে যে ভালোবাসে এর থিকা আরো পাঁচগুনআল্লার কসম আমি দিমু তারে এই জামাখান,আমার কলম আমি দিমু তারে, শরীলের খুনদোয়াত ভরায়া
পরানের গহীর ভিতর-১৫
আমারে সোন্দর তুমি কও নাই কোনো একদিন,আমার হাতের পিঠা কও নাই কি রকম মিঠা,সেই তুমি তোমারেই দিছি আমি যুবতীর চিন-চোখ-কানা