কামিনী রায়
ইচ্ছা
মনারে মনা কোথায় যাস?বিলের ধারে কাটব ঘাস। ঘাস কি হবে?বেচব কাল,চিকন সুতোর কিনব জাল। জাল কি হবে?নদীর বাঁকেমাছ ধরব ঝাঁকে
হাট্টিমা টিম্ টিম্
হাট্টিমা টিম্ টিম্তারা মাঠে পাড়ে ডিম্!তাদের খাড়া দুটো শিং,তারা হাট্টিমা টিম্ টিম্।
খিদে
আবদুল হাইকরে খাই খাইএক্ষুনি খেয়ে বলেকিছু খাই নাই।লাউ খায় শিম খায়খেয়ে মাথা চুলকায়ধুলো খায়মুলো খায়মুড়ি সবগুলো খায়লতা খায় পাতা খায়বাছে
ছবি আঁকিয়ে
আমার রঙের বাক্স থেকেঢালবো এমন নীল,আকাশ পাতাল খুঁজলে তবুপাবে না তার মিল।আমার তুলির ছোঁয়ায় শাদাপাতায় পড়বে দাগ।হরিণ যাকে ভয় পাবে
বিষ্টি
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলাবাতাস জুড়ে বিষ্টি,গাছের পাতা কাঁপছে আহাদেখতে কী যে মিষ্টি!কলাপাতায় বিষ্টি বাজেঝুমুর নাচে নর্তকী,বিষ্টি ছাড়া গাছের পাতাএমন করে
বাংলাদেশ
নমঃ নমঃ নমঃ বাঙলা দেশ মমচির-মনোরম চির-মধুর।বুকে নিরবধি বহে শত নদীচরণে জলধির বাজে নূপুর॥ শিয়রে গিরি-রাজ হিমালয় প্রহরীআশিস্-মেঘবারি সদা তাঁর
প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়
যায় মহাকাল মূর্ছা যায়প্রবর্তকের ঘুর-চাকায় ।যায় অতীতকৃষ্ণ-কায়যায় অতীতরক্ত-পায়-যায় মহাকাল মূর্ছা যায়প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়!প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়! যায় প্রবীণচৈতি-বায়,আয় নবীনশক্তি আয়।যায় অতীতযায় পতিত, ‘আয়
একটি মোরগের কাহিনি
একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেলবিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে,ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে।আশ্রয় যদিও মিলল,উপযুক্ত আহার মিলল
এই অক্ষরে
এই অক্ষর যেন নির্ঝরছুটে চলা অবিরামযেন কিছু তারা দিচ্ছে পাহারাআকাশেতে লিখে নাম।অক্ষরগুলি চায় মুখ তুলিঅন্তরে জাগে গান,শিখি তার কাছে অজানাযা
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে—সবচেয়ে সুন্দর করুণ ;সেখানে সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল; সেখানে গাছের নাম : কাঁঠাল, অশ্বত্থ,
ফেব্রুয়ারির গান
দোয়েল কোয়েল ময়না কোকিলসবার আছে গানপাখির গানে পাখির সুরেমুগ্ধ সবার প্রাণ। সাগর নদীর ঊর্মিমালারমন ভোলানো সুরনদী হচ্ছে স্রোতস্বিনীসাগর সমুদ্দুর। ছড়ায়
মা
যখন ডাকি শিউলি হয়েশরৎ তখন ভোরের হাওয়ায় বলে কান্না রাখিস না, মা তো ছিলই মা তো আছেই, সবখানেতেই মা যখন ডাকি মা সহস্র চোখ বিপন্ন