কামিনী রায়
কারার ঐ লৌহ-কপাট
১কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,রক্ত-জমাটশিকল পূজার পাষাণ-বেদী।ওরে ও তরুণ ঈশান!বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!ধ্বংস নিশানউড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি। ২গাজনের
সাম্যবাদী
গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধানযেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্লিম-ক্রীশ্চান।গাহি সাম্যের গান।কে তুমি?- পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?কন্ফুসিয়াস্?
মা
যেখানেতে দেখি যাহামা- এর মতন আহাএকটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,মায়ের মতন এতআদর সোহাগ সে তোআর কোনখানে কেহ পাইবে ভাই!
মোতাহার হোসেন কে লেখা কাজী নজরুলের চিঠি
১৫ জুলিয়াটোলা স্ট্রীট, কলিকাতা০৮-০৩-২৮সন্ধ্যা প্রিয় মতিহার,পরশু বিকালে এসেছি কোলকাতা । ওপরে ঠিকানাই আছে । ওর আগেই আসবার কথা ছিল ।
নার্গিসকে লেখা চিঠি
১ জুলাই ১৯৩৭ কল্যাণীয়াসু, তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নব বর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল।
বিদায় বেলায়
তুমি অমন ক’রে গো বারে বারে জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না,জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না।ঐ কাতর কন্ঠে থেকে থেকে শুধু বিদায়ের গান
আশা
হয়ত তোমার পাব’ দেখা,যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা।।ঐ সুদূরের গাঁয়ের মাঠে,আ’লের পথে বিজন ঘাটে;হয়ত এসে মুচকি হেসেধ’রবে
আপন পিয়াসী
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জনখুঁজি তারে আমি আপনার,আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনিআমারি তিয়াসী বাসনায়।।আমারই মনের তৃষিত আকাশেকাঁদে সে
অ-কেজের গান
ঐ ঘাসের ফুলে মটরশুটির ক্ষেতেআমার এ-মন-মৌমাছি ভাই উঠেছে আজ মেতে।।এই রোদ-সোহাগী পউষ-প্রাতেঅথির প্রজাপতির সাথেবেড়াই কুঁড়ির পাতে পাতেপুষ্পল মৌ খেতে।আমি আমন
সন্ধ্যা তারা
ঘোম্টা-পরা কাদের ঘরের বৌ তুমি ভাই সন্ধ্যাতারা?তোমার চোখে দৃষ্টি জাগে হারানো কোন্ মুখের পারা।।সাঁঝের প্রদীপ আঁচল ঝেঁপেবঁধুর পথে চাইতে বেঁকেচাউনিটি
১৪০০ সাল
[কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আজি হতে শতবর্ষ পরে” পড়িয়া] আজি হ’তে শত বর্ষ আগেকে কবি, স্মরণ তুমি ক’রেছিলে আমাদেরেশত আনুরাগে,আজি হ’তে
খুকী ও কাঠবিড়ালী
কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,খাও একা পাও যেথায় যেটুক!বাতাবি-নেবু সকলগুলোএকলা