কামিনী রায়
যখন বৃষ্টি নামলো
বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলোকূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বলসেই নিকটে—হয়তো ছিলো বৃষ্টি আসার আগেচলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, তাই কি
একবার তুমি
একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা করদেখবে, নদীর ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছেপাথর পাথর পাথর আর নদী সমুদ্রের জলনীল পাথর
ফিরে এসো মালবিকা
মালবিকা অইখানে যেওনাকো তুমি,কথা কয়োনাকো অই যুবকের সাথে,কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে ?মালবিকা জানো তুমি ঘাসে কি লবণ ?সামনে
যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো?
ভাবছি, ঘুরে দাঁড়ানোই ভালো।এতো কালো মেখেছি দু হাতেএতোকাল ধরে!কখনো তোমার ক’রে, তোমাকে ভাবিনি। এখন খাদের পাশে রাত্তিরে দাঁড়ালেচাঁদ ডাকে আয়
যদি পারো দুঃখ দাও
যদি পারো দুঃখ দাও, আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসিদাও দুঃখ, দুঃখ দাও – আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে
পথে যেতে কষ্ট হয়
পথে যেতে কষ্ট হয়, পথের একপাশে বসে থাকি।গভীর গাছের নীচে বসে থাকি যেন শুকনো পাতা-পাতার মতন থাকি, কষ্ট পাই, বাতাসের
অবনী বাড়ি আছো?
অবনী বাড়ি আছোদুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়াকেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া‘অবনী বাড়ি আছো?’ বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাসএখানে মেঘ গাভীর মতো চরেপরাঙ্মুখ
তোমাকেই মনে পড়ে
তোমাকেই মনে পড়ে আজ নীল হেমন্তের রাতেমাথার উপরচাঁদের অসংখ্য চালাঘরতুমি বলেছিলে—ঐ দেশএকদিন হবে নির্বিশেষতব রাজধানীসেদিনের কথা চাঁদ নিয়ে করে আজো
আমরা তামাটে জাতি
রোদ্দুরে নিয়েছি আর বৃষ্টিতে বেড়েছিসহস্র শতাব্দী দিয়ে নিজেকে গড়েছিআমরা তামাটে জাতি, আমরা এসেছি। আগমনী স্মৃতি হয়ে লেগে আছে আঠালো জীবনআমাদের
আগামী
জড় নই, মৃত নই, নই অন্ধকারের খনিজ,আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ;মাটিতে লালিত ভীরু, শুধু আজ আকাশের ডাকেমেলেছি
সবুজ শাড়িতে লাল রঙের ছোপ
তোতা খালা,পাখির নামে তোমার নাম কে রেখেছিল জানি না,সবুজ তোমার খুব পছন্দের রং ছিল,আর পাখির মতোই মিষ্টি ছিল তোমার কণ্ঠস্বরআদরকাতর
একটি সংলাপ
মেয়ে: তুমি কি চাও আমার ভালবাসা ?ছেলে: হ্যাঁ, চাই !মেয়ে: গায়ে কিন্তু তার কাদা মাখা !ছেলে: যেমন তেমনিভাবেই চাই ।মেয়ে: