কামিনী রায়
প্রশ্ন
মা গো, আমায় ছুটি দিতে বল্,সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা।এখন আমি তোমার ঘরে বসেকরব শুধু পড়া-পড়া খেলা।তুমি বলছ দুপুর এখন
মা
সময় হয়নি, তবু দূরের আকাশখানি ঢেকে গেল ঘন কালো মেঘে।বছর ঘুরতে না ঘুরতেইসবুজ পাতা হলুদ হয়ে খসে পড়তে লাগলো ঘাসে,অসংখ্য
মধুর আমার মায়ের হাসি
মধুর আমার মায়ের হাসিচাঁদের মুখে ঝরেমাকে মনে পড়ে আমারমাকে মনে পড়ে ।। তার মায়ায় ভরা সজল বীথিসেকি কভু হারায়সে যে
বাঁচবো কি
বাঁচবো কি? আর কী করে বাঁচবো?গাল ভরে হু হু কান্নার ঢেউ,বুকের মধ্যে ছারখার জ্বালাফুলে ফুলে ওঠে,গনগনে সীসে ঢালা ঝাঁঝাঁ কানে,বালবের
মা
মা শুনলে ভেসে ওঠে সিঁদুরের টিপলাল পেড়ে শাড়ি, কোলে দুধের সন্তানযামিনী রায়ের ছবি, সে তো তুমি নও !কোথায় লুকিয়ে আছ
এক পৌরাণিক দেবীর গল্প
এক চন্দন-ঘষা রাতে ছোট্ট পুতুলের মতোএই পৃথিবীতে বেড়াতে এলেন মা।শেকলের গোলাকার দোলনাগুলিহাওয়ার হাতে একটু মজার দোল দিতে দিতেতিনি চলেছেন, চলেছেন,
মা-ও যেন কবিতা লেখেন
পাঁচপ্রদীপের শিখার ওপর হাত পাতায় নিয়ে সামান্য ওমটুকুতোদের মাথায় ছোঁয়াই খোকাখুকু কিন্তু কখন কেউ জানে না কবেএ হাতখানি পঞ্চপ্রদীপ হবে
জন্মবৃত্তান্ত
মা-কে নিয়ে আমার খুব গর্ব ছিলআমার জন্মের সময় আমি তো জন্মাইনি –সুতরাং, জন্মদাত্রী ব’লে নয়। আসলেমা খুব গুছিয়ে বলতে পারতজন্মের
একটি সবুজ তারা
মা আছেন আকাশে নক্ষত্রের মেলায়কেউ জানে না, আমি জানি কোন তারাটিআমার মা,ঐ তারার আলোতে আমি পথ চলিঅন্ধকারে, ঝলমলে, দিনের ধন্দে
মা-র কাছে ফেরা
ওখানে ভীষণ খরায় ফসলের চরাচরে পাখা মেলে বোসেছে একবন্ধ্যার বাজপাখি, তার ঠোঁটের বিষ আমার রক্তের শহরে ঢুকেছেশত্রুসেনারা যেমন বিজয়গর্বে ঢোকে
তোমার মা
তাঁর ছায়া তাঁরই মতো থাকেউঠোন, বাগান, শান বাঁধানো ঘাটেসন্ধ্যা যখন নামেহাতের মুঠোয় কমলালেবু, কমলালেবুর ঘ্রাণেদীর্ঘ চুলে গন্ধ-বাতাস খেলেআমার তখন কী-ই
একটি গ্রাম্য দৃশ্য
মাটির দাওয়ায় খুদে মাস্টার ক্লাস সিক্সের গুটুলিহাতে বেত নেই, তর্জনি তোলা, নাকের ডগায় চশমাখেলনা চশমা, চশমা ছাড়া কি মাস্টার সাজা