কামিনী রায়
মুজিবের মুখ
মুজিবের মুখ মানে বাঙালির মুখমুজিবের মুখ মানে বাঙালির সুখমুজিবের মুখ মানে নদী আঁকাবাঁকামুজিবের মুখ মানে প্রগতির চাকা মুজিবের মুখ মানে
ঝিঙে ফুল
ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল।সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল –ঝিঙে ফুল।গুল্মে পর্ণেলতিকার কর্ণেঢলঢল স্বর্ণেঝলমল দোলো দুল –ঝিঙে ফুল॥পাতার দেশের পাখি বাঁধা
প্রার্থী
হে সূর্য! শীতের সূর্য!হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়আমরা থাকি,যেমন প্রতীক্ষা ক’রে থাকে কৃষকদের চঞ্চল চোখ,ধানকাটার রেমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে। হে সূর্য,
কোন্ দেশে
কোন্ দেশেতে তরুলতাসকল দেশের চাইতে শ্যামল?কোন্ দেশেতে চলতে গেলেইদলতে হয় রে দুর্বা কোমল?কোথায় ফলে সোনার ফসল,সোনার কমল ফোটে রে?সে আমাদের
আমাদের এই বাংলাদেশ
সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ ।আমার প্রিয় আপন দেশ বাংলাদেশ ।আমাদের এই বাংলাদেশ । কবির দেশ বীরের দেশ আমার দেশ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ ।ধানের দেশ
জয় বাংলা
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মন্ত্র ছিলো কি?বন্ধু তুমি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান শোনোনি!একটা ধ্বনির শক্তিতে কী বিপুল আলোড়ন!এই বাংলার আর বাঙালির দৃপ্ত উচ্চারণ–একেকটা
প্রভাতী
ভোর হলো দোর খোলোখুকুমণি ওঠো রে!ঐ ডাকে যুঁইশাখেফুল-খুকি ছোট রে!খুকুমণি ওঠো রে!রবি মামা দেয় হামাগায়ে রাঙা জামা ঐ,দারোয়ান গায় গানশোনো
মাঝি
আমার যেতে ইচ্ছে করে নদীটির ওই পারে — যেথায় ধারে ধারে বাঁশের খোঁটায় ডিঙি নৌকো বাঁধা সারে
তুমি বলেছিলে
দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার।পুড়ছে দোকান-পাট, কাঠ,লোহা-লক্কড়ের স্তূপ, মসজিদ এবং মন্দির।দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নতুন বাজার। বিষম পুড়ছে চতুর্দিকে
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি, নিথর বিশাল,মাটি ফুঁড়ে জেগে ওঠে গভীর রাত্তিরে!মুখে শতাব্দীর গাঢ় বিশদ শ্যাওলা আর ভীষণ ফাটল,যেন
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
সারারাত নূর হোসেনের চোখে এক ফোঁটা ঘুমওশিশিরের মতো জমেনি, বরং তার শিরায় শিরায়জ্বলেছে আতশবাজি সারারাত, কী একভীষণ বিস্ফোরণ সারারাত জাগিয়ে
প্রথম অতিথি
এরকম বাংলাদেশ কখনো দেখনি তুমি,মূহুর্তে সবুজ ঘাস পুড়ে যায়,ত্রাসের আগুন লেগে লাল হয়ে জ্বলে উঠে চাঁদ।নরম নদীর চর হা-করা কবর