কামিনী রায়
কাঠের চেয়ার
কাঠের চেয়ারে বসে থাকতে থাকতেমানুষও একদিন কাঠ হয়ে যায়।তার পায়ের আঙুলগুলোশিকড় হয়ে চাড়িয়ে যায় মেঝের ভেতর।তার কোমর থেকেসোঁদরি, গরান, গঁদের
পিঁপড়ে
আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ঘুরুক দেখুক থাকুককেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা —স্তব্ ধ শুধু চলায় কথা বলা —আলোয়
বড়োবাবুর কাছে নিবেদন
তালিকা প্রস্তুতকী কী কেড়ে নিতে পারবে না-হই না নির্বাসিত-কেরানি।বাস্তুভিটে পৃথিবীটার সাধারণ অস্তিত্ব।যার এক খন্ড এই ক্ষুদ্র চাকরের আমিত্ব।যতদিন বাঁচি, ভোরের
বৃষ্টি
কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে।ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে।শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার।লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী;আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানেইন্দ্রমেঘ;কালো
কোথায় চলছে পৃথিবী
তোমারও নেই ঘরআছে ঘরের দিকে যাওয়া।সমস্ত সংসারহাওয়াউঠছে নীল ধূলোয় সবুজ অদ্ভূত;দিনের অগ্নিদূতআবার কালো চক্ষে বর্ষার নামে ধার।কৈলাস মানস সরোবরঅচেনা কলকাতা
জেলখানার চিঠি
প্রিয়তমা আমারতেমার শেষ চিঠিতেতুমি লিখেছ ;মাথা আমার ব্যথায় টন্ টন্ করছেদিশেহারা আমার হৃদয়। তুমি লিখেছ ;যদি ওরা তেমাকে ফাঁসী দেয়তেমাকে
স্টোরি অব বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশের কাহিনি সে তো আইনপ্রসূত আদেশ পালনে সিদ্ধ অন্ধদের হাতে নতুন করে গড়া সেই প্রাচীন কাহিনি যে আইনের ওপর
বাংলাদেশ
বন্ধু আমার এল একদিন চোখভরা তার ধু ধু হাহাকার বলল কেবল সহায়তা চাই বাঁচাতে হবে যে দেশটাকে তার বেদনা যদি
যশোর রোডে সেপ্টেম্বর
লক্ষশিশু দেখছে আকাশ অন্ধকার উদর স্ফীত, বিষ্ফোরিত চোখের ধার যশোর রোডে-বিষন্ন সব বাঁশের ঘর ধুঁকছে শুধু, কঠিন মাটি নিরুত্তর। লক্ষ
সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড
শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল,যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল।কাদামাটি মাখা মানুষের দল,
আমার বিষন্ন সত্তা
কখনও কখনও আমার চোখ রক্তাভ হয়ে এলেআরসিএ ভবনের একেবারে উপরে উঠে যাই,আমার পৃথিবীর দিকে অপলক চেয়ে থাকি, ম্যানহাটান —ভবনগুলো, সড়কগুলো,
মাচো পিচুর উচ্চতা থেকে
আমার জন্মের সঙ্গে জেগে ওঠ ভাই আমারগভীর থেকে বাড়িয়ে দাও তোমার মলিনহাত ।এইসব পাথরের দৃঢ় শাসন থেকে ফিরবেনা তুমি।পাতালের সময়