কি আছে তোমার দ্যাশে? নদী আছে? আছে নাকি ঘর?ঘরের ভিতরে আছে পরানের নিকটে যে থাকে?উত্তর সিথানে গাছ, সেই গাছে পাখির

তোমার দ্যাশের দিকে ইস্টিশানে গেলেই তো গাড়িসকাল বিকাল আসে, এক দন্ড খাড়ায়া চম্পট,কত লোক কত কামে দূরে যায়, ফিরা আসে

আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান,ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,ঘরের বিছান নিয়া ক্যান

সে কোন বাটিতে কও দিয়াছিলা এমন চুমুকনীল হয়া গ্যাছে ঠোঁট, হাত পাও শরীল অবশ,অথচ চাও না তুমি এই ব্যাধি কখনো

আন্ধার তোরঙ্গে তুমি সারাদিন কর কি তালাশ?মেঘের ভিতর তুমি দ্যাখ কোন পাখির চক্কর?এমন সরল পথ তবু ক্যান পাথরে টক্কর?সোনার সংসার

জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক,চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর,মানুষ বেকুব চুপ,হাটবারে সকলে দেখুককেমন মোচড় দিয়া টাকা নিয়া যায়

ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া নীল এই মখমল রাতেচাঁদের সোনালি থালা, রাশি রাশি নক্ষত্রের ফুল;মনে হয় মানুষ এমন রাত দেখেছে বোগদাদে।অথচ কী

আমি একটুখানি দাঁড়াব এবং দাঁড়িয়ে চলে যাব;শুধু একটু থেমেই আমি আবার এগিয়ে যাব;না, আমি থেকে যেতে আসিনি;এ আমার গন্তব্য নয়;আমি

তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরেযার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরোশো নদীর ধারা ;তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ

তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি।কপালে ওই টকটকে লাল টিপ।আমি কি আর তোমাকে ছেড়েকোথাও যেতে পারি?তুমি আমার পতাকা, আমার

এখন মধ্যরাত।তখন দুপুরে রাজপথে ছিলো মানুষের পদপাত।মিছিলে মিছিলে টলমল ছিলো সারাদিন রাজধানী।এখন কেবল জননকূল ছল বুড়িগঙ্গার পানিশান্ত নীরব নিদ্রিত সব।ওই

কিছু শব্দ উড়ে যায়, কিছু শব্দ ডানা মুড়ে থাকে,তরল পারার মতো কিছু শব্দ গলে পড়ে যায়।এমন সে কোন শব্দ নক্ষত্রের