জসীম উদ্দীন
সংকল্প
থাকব না’ক বদ্ধ ঘরেদেখব এবার জগৎটাকেকেমন করে ঘুরছে মানুষযুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে।দেশ হতে দেশ দেশান্তরেছুটছে তারা কেমন করে,কিসের নেশায় কেমন করেমরছে যে
কোথায় ছিলাম আমি
মা গো! আমায় বল্তে পারিস কোথায় ছিলাম আমি-কোন্ না-জানা দেশ থেকে তোর কোলে এলাম নামি?আমি যখন আসিনি, মা তুই কি
চল চল চল
চল চল চল!ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদলনিম্নে উতলা ধরণি তল,অরুণ প্রাতের তরুণ দলচল রে চল রে চলচল চল চল।। ঊষার দুয়ারে
মিথ্যাবাদী
মিথ্যা বলেছ বলিয়া তোমায় কে দিল মনস্তাপ?সত্যের তরে মিথ্যা যে বলে স্পর্শে না তারে পাপ।গোটা সত্যটা শুধু তো সত্যকথা বলাতেই
লিচু চোর
বাবুদের তালপুকুরে হাবুদের ডালকুকুরেসে কি বাস করলে তাড়া, বলি থাম একটু দাঁড়া।পুকুরের ঐ কাছে না লিচুর এক গাছ আছে নাহোথা
ঈশ্বর
কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?হায় ঋষি দরবেশ,বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি
ধূমকেতু
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতুএই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!সাত সাতশো নরক-জ্বালা জলে মম ললাটে,মম ধূম-কুণ্ডুলি করেছে শিবের
দারিদ্র্য
হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্।তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মানকন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ, তাপস,অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,বীণা মোর
আমার কোন কুলে আজ
আমার কোন কুলে আজ ভিড়লো তরীএ কোন সোনার গাঁয়?আমার ভাটির তরী আবার কেনউজান যেতে চায়?দুখেরে কান্ডারী করিআমি ভাসিয়েছিলাম ভাঙ্গা তরীতুমি
অকরুণ পিয়া
আমার পিয়াল বনের শ্যামল পিয়ার ওই বাজে গো বিদায়বাঁশি,পথ-ঘুরানো সুর হেনে সে আবার হাসে নিদয় হাসি।পথিক বলে পথের গেহবিলিয়েছিল একটু
আঁধারে
অমানিশায় আসে আঁধার তেপান্তরের মাঠে;স্তব্ধ ভয়ে পথিক ভাবে,– কেমনে রাত কাটে!ওই যে ডাকে হুতোম-পেঁচা, বাতাস করে শাঁ শাঁ!মেঘে ঢাকা অচিন