জসীম উদ্দীন
ভালবাসার সময় তো নেই
ভালবাসার সময় তো নেইব্যস্ত ভীষণ কাজে,হাত রেখো না বুকের গাঢ় ভাঁজে। ঘামের জলে ভিজে সাবাড়করাল রৌদ্দুরে,কাছে পাই না, হৃদয়- রোদ
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনীচলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবেআমার
এ কেমন ভ্রান্তি আমার
এ কেমন ভ্রান্তি আমার !এলে মনে হয় দূরে স’রে আছো, বহুদূরে,দূরত্বের পরিধি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আকাশ।এলে মনে হয় অন্যরকম জল
উল্টো ঘুড়ি
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা- দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখেস্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,কোন বেদনার
অবেলায় শঙ্খধ্বনি
অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই,কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই।এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেইকিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান।সাহস আমাকে প্ররোচনা
অভিমানের খেয়া
এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই,পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাতপারিজাতহীন কঠিন পাথরে। প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে,নির্মম ক্লেদে মাথা
মানুষের মানচিত্র ৪
ভাসান যে দিতে চাও, কোন দেশে যাবা? যাবা সে কোন বন্দরে আমারে একলা থুয়ে? এই ঘর, যৈবনের কে দেবে পাহারা?এমন
মানুষের মানচিত্র ১
আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই,
মনে পড়ে সুদূরের মাস্তুল
পেছনে তাকালে কেন মূক হয়ে আসে ভাষা !মনে পড়ে সেই সব দুপুরের জলাভূমি,সেই সব বেতফল, বকুল কুড়ানো ভোর,আহা সেই রাঙাদির
দূরে আছো দূরে
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। যেভাবে
কথা ছিলো সুবিনয়
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত,রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখেরাখালিয়া বাজাবে বিশদ।কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।শুন্যতার দিকে চোখ, শুন্যতা চোখের ভেতরও–এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া,