জসীম উদ্দীন
ব্যাঙ্ককে বৃষ্টি
সেই ঝরঝর করে আকাশে ব্যালেরিনারাবাঙলার ঘাসের স্টেজে নরম নদীর কার্পেটে নামেটাপুর টুপুর খিলখিল করে নেচে খেলেসমস্ত দুপুর সকাল বিকেল কখনো
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসেআজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে। আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে
কাস্তে
বেয়নেট হোক যত ধারালো—কাস্তেটা ধার দিয়ো, বন্ধু!শেল আর বম হোক ভারালোকাস্তেটা শান দিয়ো, বন্ধু।নতুন চাঁদের বাঁকা ফালিটিতুমি বুঝি খুব ভালোবাসতে
নুন
আমরা তো অল্পে খুশি,কী হবে দুঃখ করে?আমাদের দিন চলে যায়সাধারণ ভাতকাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদেরঅসুখে ধারদেনাতেরাত্তিরে দুভায়ে মিলেটান দিই গঞ্জিকাতে।
আমরা সময়ের সন্তান
আমরা এসেছি।আমরা এসেছি ।আমরা এসেছি ॥আমরা সময়ের সন্তানআমরা এসেছি।আমরা তামাটে জাতিআমরা এসেছি।আমরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা,প্রীতিলতার চট্টলা।আমরা এসেছি।আমরা বায়ান্নের অগ্নি পুরুষবাংলা
আর নয় আপসের ডাক
আগুন, বিদ্রোহ করি, সুতীক্ষ্ণ হাতিয়ারে শত্রুকে ছাটাই,মরচে-পড়া খোস্তা আর কোদাল কান্তে দুর্গমে শানাইআসুন, জনতা আজ বাঁধভাঙ্গা রক্তের তুলছে জোয়ার,ক্রমশ সামনে
আমরা যাবো না
এখনও দুধের দাঁত পড়েনি , এরই মধ্যেআইয়ুব খানের দাঁত দেখাচ্ছ ?ভাবছো এতেই চলে যাব ?না , চলে যাবার জন্য আমরা
মেষতন্ত্র
মেষরে মেষ তুই আছিস বেশ,মনে চিন্তার নেইকো লেশ। ডানে বললে ঘুরিস ডানে,বামে বললে বামে।হাবে ভাবে পৌঁছে যাবিসোজা মোক্ষধামে।চরায় টিমে তালের
মানুষ — এই শব্দটি আমাকে বড় আলোড়িত করে
হ্যাঁ, এই শব্দটি আমাকে আলোড়িত করেআমি কোনো মানুষবিহীন অরণ্যে বাস করতে পারি না,কোনো নিঝুম ঘরেও, যদি মানুষ না থাকে, গা
এক অপ্রেমিকের জন্য
এই শহরেই তুমি বাস করবে, কাজে অকাজে দৌড়োবে এদিক ওদিককোথাও আড্ডা দেবে অবসরে, মদ খাবে, তুমুল হৈ চৈ করবে,রাত ঘুমিয়ে
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে লেখা চিঠি
প্রিয় রুদ্র, প্রযত্নেঃ আকাশ, তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও?
দেহতত্ত্ব
এতকাল চেনা এই আমার শরীরসময় সময় একে আমি নিজেই চিনি না।একটি কর্কশ হাতনানান কৌশল করে চন্দন চর্চ্চিত হাতখানি ছুঁলেআমার স্নায়ুর