জসীম উদ্দীন
দ্বিখন্ডিত
সে তোমার বাবা, আসলে সে তোমার কেউ নয়সে তোমার ভাই, আসলে সে তোমার কেউ নয়সে তোমার বোন, আসলে সে তোমার
টোপ
যেরকম ছিলে, সেরকমই তুমি আছকেবল আমাকে মাঝপথে ডুবিয়েছস্বপ্নের জলে উলটো ভাসান এতআমি ছাড়া আর ভাগ্যে জুটেছে কার! আগাগোড়া তুমি অবিকল
ব্যস্ততা
তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম, যা কিছু নিজের ছিল দিয়েছিলাম,যা কিছুই অর্জন-উপার্জন !এখন দেখ না ভিখিরির মতো কেমন বসে থাকি !কেউ ফিরে
হিসেব
কতটুকু ভালোবাসা দিলে,ক তোড়া গোলাপ দিলে,কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –সব যেদিন ভীষণ
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত,তবু এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়-প্রতারক পুরুষেরা এখনো আঙুল ছুঁলে পাথর শরীরবয়ে ঝরনার জল ঝরে।এখনো
এক গঞ্জের গল্প
আমাদের গঞ্জের ছিদাম পাইকের কথা বলিতাসের আড্ডা, সস্তা চা খানা, তামাকেরকালচে-নীল ধোঁয়ার মাঝে পরাণ কামারেরআটচালায় নানা স্মৃতি নিয়ে সেব্যস্ত থাকে
পার্শ্ববর্তিনী সহপাঠিনীকে
কি আর এমন ক্ষতি যদি আমি চোখে চোখ রাখিপদাবলী প’ড়ে থাক সাতাশে জুলাই বহুদূরএখন দুপুর দ্যাখো দোতালায় পড়ে আছে একাচলো
ডাকাত
তুমি কে হ?সোনালী ছনের বাড়ি তছনছ করে রাতেনির্বিচারে ঢুকে গেলে অন্দর-মহলেবেগানা পুরুষ, লাজ-শরমের মাথা খেয়েতুমি কে হে? তোমাকে তো কখনো
যাতায়াত
কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।কেন আমার দিন কাটেনা রাত কাটে নারাত কাটে তো ভোর দেখি নাকেন আমার হাতের
নাম ভূমিকায়
তাকানোর মতো করে তাকালেই চিনবে আমাকে।আমি মানুষের ব্যকরণজীবনের পুষ্পিত বিজ্ঞানআমি সভ্যতার শুভ্রতার মৌল উপাদান,আমাকে চিনতেই হবেতাকালেই চিনবে আমাকে। আমাকে না
রাখাল
আমি কোনো পোষা পাখি নাকি?যেমন শেখাবে বুলিসেভাবেই ঠোঁট নেড়ে যাবো, অথবা প্রত্যহমনোরঞ্জনের গান ব্যাকুল আগ্রহে গেয়েঅনুগত ভঙ্গিমায় অনুকূলে খেলাবো আকাশ,আমি
ভূমিহীন কৃষকের গান
দুই ইঞ্চি জায়গা হবে?বহুদিন চাষাবাদ করিনা সুখের। মাত্র ইঞ্চি দুই জমি চাইএর বেশী কখনো চাবো না,যুক্তিসঙ্গত এই জৈবনিক দাবি খুব