জসীম উদ্দীন
একটি পতাকা পেলে
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলেআমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা । কথা ছিলো একটি পতাকা পেলেভজন গায়িকা সেই
প্রস্থান
এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটাখুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র
ইচ্ছে ছিলো
ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবোইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করেশান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতোসূর্যালোকে
হৃদয়ের ঋণ
আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলেকলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলেবেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাতগচ্ছিত রেখে
পৃথক পাহাড়
আমি আর কতোটুকু পারি ?কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়। ওইটুকু নিয়ে তুমি বড়
অবাক সূর্যোদয়
কিশোর তোমার দুইহাতের তালুতে আকুল সূর্যোদয়রক্ত ভীষণ মুখমণ্ডলে চমকায় বরাভয়।বুকের অধীর ফিনকির ক্ষুরধারশহিদের খুন লেগেকিশোর তোমার দুই হাতে দুইসূর্য উঠেছে
তোমার আপন পতাকায়
এবার মোছাব মুখ তোমার আপন পতাকায়।হাজার বছরের বেদনা থেকে জন্ম নিলরক্তিম সূর্যের অধিকারী যে শ্যামকান্ত ফুলনিঃশঙ্ক হাওয়ায় আজ ওড়ে, দুঃখ
এখন সকল শব্দই
আমার নিশ্বাসের নাম স্বাধীনতা।আমার বিশ্বাসের নখর এখনক্রোধের দারুণ রঙে রাঙানোদুঃস্বপ্নের কোলবন্দি আমার ভালোবাসাএখন কেবলইএক অহরহ চিৎকার, হত্যা করো,হত্যা করো, হত্যা
বালিকা ও আমি
বালিকা ফুল ভালোবাসে। আমি ভালোবাসি প্রজাপতি, পাখার রঙিন ঢেউ, সোনালি রেণু- বালিকা চঞ্চল হয়, হাওয়ায়-হাওয়ায় ওড়ে পাহাড়ে, সবুজ ঘাসের নিচে
ভালো আছি
ভিড়ের মধ্যে নিজেকে মৃত দেখলামএক লাশ, যে আমাকে বলতে বলল:ভালো আছিবয়সের তুলনায় বড়বেশি ভালো আছিরফা করছি খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্গে,নির্বাসন
আমি কি মানুষ হতে পারি
আমার স্বদেশ নেইআমি হাওয়া হতে পারিআমি মেঘ হতে পারিআমি চাঁদ-সূর্য থেকে শুরু করেমানচিত্রহীন সব হতে পারিহতে পারি এক পাখিহাঁস অথবা
কেবল যাবার থাকে
কণ্ঠলগ্ন সাপ তুমি বেড়ে উঠো ধীরেবয়স বাড়ার মতো,লতায় পাতায় ঢাকো গেরুয়া জমিন জোড়া বৃক্ষের আকার—ঢাকো দিন, রাত-দিন একাকার করে দাও