জসীম উদ্দীন

অভিরূপ তোমাকে

ঘরে ফেরা কি এতটা কঠিন?ঘর তো আর আকাশ নয়, ফিরতে গেলে পাখি হতে হয়।পাখির মতো দুটো ডানা থাকতে হয়। পায়ে

বাকি অংশ »

ঘর

মেয়েটা পাখি হতে চাইলআমি বুকের বাঁদিকে আকাশ পেতে দিলাম। দু-চার দিন ইচ্ছে মতো ওড়াওড়ি করে বলল,তার একটা গাছ চাই।মাটিতে পা

বাকি অংশ »

কেউ একটা তো চাই

কেউ একটা তো চাই, টিপ সরে গেলেআয়নার মতো বলবে ‘টিপ বাঁকা পরেছ।’চোখের কাজল লেপটে গেলে ধরিয়ে দেবে।কেউ একটা তো চাই,

বাকি অংশ »

সোজা কথা

স্রেফ তোর একটা কাজ হোক, গাড়িবাড়ি চাই না।–কী করে ঘুরবি?দুপায়ে ইচ্ছে থাকলেই এই পৃথিবীটা তোর।-কোথায় থাকবি?কেন? তোর আকাশটা কি দুজন

বাকি অংশ »

তুমিই মালিনী 

তুমিই মালিনী, তুমিই তো ফুল জানি ।ফুল দিয়ে যাও হৃদয়ের দ্বারে, মালিনী,বাতাসে গন্ধ, উৎস কি ফুলদানি,নাকি সে তোমার হৃদয়সুরভি হাওয়া

বাকি অংশ »

জল দাও 

তোমার স্রোতের বুঝি শেষ নেই, জোয়ার ভাঁটায়এ-দেশে ও-দেশে নিত্য ঊর্মিল কল্লোলেপাড় গড়ে পাড় ভেঙে মিছিলে জাঠায়মরিয়া বন্যায় যুদ্ধে কখনো-বা ফল্গু

বাকি অংশ »

বাংলাই আমাদের 

আমরা বাংলার লোক,বাংলাই আমাদের, এদের ওদের সবার জীবন |আমাদের রক্তে ছন্দ এই নদি মাঠ ঘাটএই আমজাম বন,এই স্বচ্ছ রৌদ্রজলে অন্তরঙ্গ

বাকি অংশ »

ঘোরসাওয়ার

জন সমুদ্রে নেমেছে জোয়ার,হৃদয় আমার চড়া |চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি—কোথায় ঘোড়সওয়ার?দীপ্ত বিশ্ববিজয়ী! বর্শা তোলো |কোন ভয়? কেন বীরের ভরসা

বাকি অংশ »

তিনটি কাঠবিড়ালী 

অনেক দিনের অনেক যত্নে কমিয়েছি সন্ত্রাস।এদিকে আমার ছুটি শেষ হ’ল প্রায়,আজ তিনটেতে গাছ থেকে নেমে বসেছিলো জানলায়।এত ভীরু এত বিনীত

বাকি অংশ »

এবং লখিন্দর! 

হৃদয় তোমাকে পেয়েছি, স্রোতস্বিনী!তুমি থেকে থেকে উত্তাল হয়ে ছোটো,কখনো জোয়ারে আকণ্ঠ বেয়ে ওঠোতোমার সে-রূপ বেহুলার মতো চিনি।তোমার উৎসে স্মৃতি করে

বাকি অংশ »

বৃষ্টির ছড়া 

বৃষ্টি এল কাশ বনেজাগল সাড়া ঘাস বনে,বকের সারি কোথা রেলুকিয়ে গেল বাঁশ বনে। নদীতে নাই খেয়া যে,ডাকল দূরে দেয়া যে,কোন

বাকি অংশ »

সাত সাগরের মাঝি 

কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হল জানি না তা ।নারঙ্গি বনে কাঁপছে সবুজ পাতা ।দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার

বাকি অংশ »
Scroll to Top