জসীম উদ্দীন
কথোপকথন -৪
– যে কোন একটা ফুলের নাম বল– দুঃখ ।– যে কোন একটা নদীর নাম বল– বেদনা ।– যে কোন একটা
কথোপকথন -১৩
-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছেতোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলাহাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?-একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয়সকাল সন্ধে
কথোপকথন -১৬
ওগো সুন্দরী !মনে আছে কাল তেসরা জুন ?সেকি! ভুলে গেছো?তুমি তো দেখছি সাংঘাতিক!ভুলে গেলে তিথি প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর?আজ্ঞে না এটা
কথোপকথন – ২৮
– আমার আগে আর কাউকে ভালোবাসনি তুমি?– কেন বাসব না? অনেক।কৃষ্ণকান্ডের উইলের ভ্রমরযোগাযোগের কুমুপুতুলনাচের ইতিকথার কুসুমঅপরাজিত –র – ইয়ার্কি করো
কথোপকথন – ২৯
– দূরে চলে যাও। তবু ছায়াআঁকা থাকে মেঘে। যেন ওড়েবাতাসের সাদা বারান্দায়বালুচরী বহু বর্ণময়।গান শেষ তবু তখনো তারপ্রতিধ্বনিরা দশ দিকে।যেন
কথোপকথন –৩০
তুমি আমার সর্বনাশ করেছ শুভঙ্করকিচ্ছু ভাল লাগে না আমার কিচ্ছু নাজ্বলন্ত উনুনে ভিজা কয়লার ধোঁয়াআর শ্বাস কষ্ট ঘিরে ফেলেছে আমার
কথোপকথন -৩৪
– বল তো কত বয়স হল তার?– কার?– যার মাথাভর্তি সবুজ দেবদারু চুলযার টলমলে পা কেবল ভুল পথের কাঁটারউপরেযার সমস্ত
কথোপকথন – ৩৫
-লোকে বলে শুনি সেলায়ে তোমার পাকা হাতছুঁচ দিয়ে লেখ কবিতা। -গোয়েন্দা নাকি আমার যা কিছু লুকানোজানতে হবে কি সবই তা?
কথোপকথন – ৩৮
-নন্দিনী! আমার খুব ভয় করে ,বড় ভয় করে!কোনও একদিন বুঝি জ্বর হবে ,দরজা দালান ভাঙ্গা জ্বরতুষার পাতের মত আগুনের ঢল
কথোপকথন – ৩৯
তোমাকে বাজাইসমুদ্র-শাঁখ তুমিগাছে ফুল আসেফুলেরা কিশোরী হয় ।ডালপালাগুলো সবুজ পাতার খামেচিঠি লিখে লিখেপ্রেম নিবেদন করে ।ফ্রক ছেড়ে শাড়ি পরেসমগ্র বনভূমি
অঙ্ক-শঙ্কা
ব’সে ব’সে অঙ্ক ক’ষে পারি নে আর ভাই,কিছুতে আর অ্যানসারটা মিলছে না যে ছাই।যোগ ক’রে মিলল না যখন,বিয়োগ ক’রে দেখনু
কাজের লোক
মৌমাছি, মৌমাছিকোথা যাও নাচি নাচিদাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনেযাই মধু আহরণেদাঁড়াবার সময় তো নাই। ছোট পাখি, ছোট