জসীম উদ্দীন
আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও
হে নবীনা, এই মধ্য-ম্যানহাটানে বাতাসের ঝাপটায়তোমার হঠাৎ খুলে যাওয়া উদ্দাম চুলআমার বুকের ‘পর আছড়ে পড়লোচিরকালের বাংলার বৈশাখের ঝঞ্ঝার মতন। তোমার
তুমি গান গাইলে
তুমি গান গাইলে,লক্ষ লক্ষ কিলোয়াটের বাল্বের মতোজুঁই, চামেলি চন্দ্রমল্লিকা জ্বলে উঠলো না তুমি গান গাইলে,ব্যারাকে-ব্যারাকে বিউগল্ বেজে উঠলোসেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ থামলো
মাংস, মাংস, মাংস…
আমাকে রাঙাতে পারে তেমন গোলাপকখনও দেখি না। তবে কাকে, কখন, কোথায়ধরা দেবো? একমাত্র গোধূলি বেলায়সবকিছু বীরাঙ্গনার মতন রাঙা হয়ে যায়।শৈশবও
স্মৃতি : কৈশোরিক
অদৃশ্য ফিতে থেকে ঝুলছে রঙিন বেলুনরাত্রির নীলাভ আসঙ্গে আর স্বপ্নের ওপরযেন তার নৌকা- দোলা; সোনার ঘণ্টার ধ্বনিছড়িয়ে পড়ছে সমস্ত শহরের!
কোনো ক্রন্দন তৈরি হয় না
একটি মাছের অবসান ঘটে চিকন বটিতে,রাত্রির উঠোনে তার আঁশ জ্যোৎস্নার মতোহেলায়-ফেলায় পড়ে থাকেকোথাও কোনো ক্রন্দন তৈরি হয় না,কোথাও কোনো ক্রন্দন
সঙ্গতি
বন্য শূকর খুঁজে পাবে প্রিয় কাদামাছরাঙা পাবে অন্বেষণের মাছ,কালো রাতগুলো বৃষ্টিতে হবে শাদাঘন জঙ্গলে ময়ূর দেখাবে নাচপ্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে
বাংলা কবিতার ধারা
কে যেন চিৎকার করছে প্রাণপণে `গোলাপ! গোলাপ!’ঠোঁট থেকে গড়িয়ে পড়ছে তার সুমসৃণ লালা,`প্রেম, প্রেম’ বলে এক চশমা-পরা চিকণ যুবকসাইকেল-রিকশায় চেপে
নন্দলাল
নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ-স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।সকলে বলিল, ‘আ-হা-হা কর কি, কর কি,
কাজের ছেলে
“দাদখানি চাল, মসুরের ডাল,চিনি-পাতা দৈ,দুটি পাকা বেল, সরিষার তেল,ডিম-ভরা কৈ।”পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি,পাছে হয় ভুল,ভুল যদি হয়,মা তবে
আমাদের ছোটো নদী
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকেবৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে,পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,দুই ধার উঁচু তার,
একুশের কবিতা
‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইলকাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।’ কবেকার পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সেই সুরসুর নয় স্মৃতির মধুভাণ্ডার-সেই
উত্তম ও অধম
কুকুর আসিয়া এমন কামড়দিল পথিকের পায়কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটেবিষ লেগে গেল তাই।ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারাবিষম ব্যথায় জাগে,মেয়েটি তাহার তারি