জসীম উদ্দীন
অনির্ণীত নারী
নারী কি নদীর মতোনারী কি পুতুল,নারী কি নীড়ের নামটবে ভুল ফুল। নারী কি বৃক্ষ কোনোনা কোমল শিলা,নারী কি চৈত্রের চিতানিমীলিত
এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায়আমি তাকে ঘৃণা করি-যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছেআমি তাকে ঘৃণা করি-যে
সেই সব স্বপ্ন
কারাগারের ভিতরে পড়েছিল জোছনাবাইরে হাওয়া, বিষম হাওয়াসেই হাওয়ায় নশ্বরতার গন্ধতবু ফাঁসির আগে দীনেশ গুপ্ত চিঠি লিখেছিল তার বৌদিকে,“আমি অমর, আমাকে
ছাড়পত্র
যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রেতার মুখে খবর পেলুমঃসে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকারজন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে।খর্বদেহ
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়মিছিলের সব হাতকন্ঠপা এক নয় ।
ঘরোয়া রাজনীতি
ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন,আগামী মিছিলে এসোস্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন। আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো,ধ্রুপদী পিপাসা
বাবা তুমি
আজও সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছেতাই আজও বাবার সাথে দেখা হয়নিকতকাল দেখা হয়নাআমাদের চোখে চোখে কথা নেই কয়েক
আমার প্রিয় বাবা
আমার বাবা আমার কাছে খুবই প্রিয়জনহৃদয় মাঝে বাবা হলো বড় আপনজন ।বাবা মানে মাথার ওপর শীতল কমল ছায়া,বুকের মাঝে লুকিয়ে
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না একবার তোমাকে দেখতে পাবো এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে- বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার হবো
স্মৃতি
সে আসে আমার কাছে ঘুরে ঘুরে যেন একস্রোতস্বিনী নদীর সুবাস, ভালোবাসা সে যেন হৃদয়ে শুধুঘুরে ঘুরে কথা কয়, চোখের ভিতর
বেঁচে আছি স্বপ্নমানুষ
আমি হয়তো কোনোদিন কারো বুকে জাগাতে পারিনি ভালোবাসা, ঢালতে পারিনি কোনো বন্ধুত্বের শিকড়ে একটু জল- ফোটাতে পারিনি কারো একটিও আবেগের
চিঠি দিও
করুণা করে হলে চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো