জসীম উদ্দীন
নোট বই
এই দেখ পেনসিল্, নোটবুক এ–হাতে,এই দেখ ভরা সব কিল্বিল্ লেখাতে।ভালো কথা শুনি যেই চট্পট্ লিখি তায়-ফড়িঙের ক’টা ঠ্যাং, আরশুলা কি
জীবনের হিসাব
বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটেমাঝিরে কন , “বলতে পারিস্ সূর্যি কেন ওঠে?চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?”বৃদ্ধ মাঝি অবাক
গোঁফচুরি
হেড আফিসের বড়বাবু লোকটি বড় শান্ত,তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কখনো জান্ত?দিব্যি ছিলেন খোসমেজাজে চেয়ারখানি চেপে,একলা বসে ঝিম্ঝিমিয়ে হটাত্
খিচুড়ি
হাঁস ছিল, সজারুও, (ব্যাকরণ মানি না),হয়ে গেল ‘হাঁসজারু’ কেমনে তা জানি না৷বক কহে কচ্ছপে—বাহবা কি ফুর্তি !অতি খাসা আমাদের ‘বকচ্ছপ
খাই খাই
খাই খাই করো কেন, এসো বসো আহারে-খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে,জড় করে আনি সব—
কুমড়ো পটাশ
(যদি) কুম্ড়ো পটাশ নাচে-খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে ;চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে;চার পা তুলে থাকবে ঝুলে
কাতুকুতু বুড়ো
আর যেখানে যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার,কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেও না খবরদার!সর্বনেশে বৃদ্ধ সে ভাই যেও না তার বাড়ি-কাতুকুতুর
আবোল তাবোল
আয়রে ভোলা খেয়াল‐খোলাস্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,আয়রে পাগল আবোল তাবোলমত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।আয় যেখানে ক্ষ্যাপার গানেনাইকো মানে নাইকো সুর,আয়রে যেথায় উধাও হাওয়ায়মন
সাহস
পুলিশ দেখে ডরাইনে আর, পালাইনে আর ভয়ে,আরশুলা কি ফড়িং এলে থাকতে পারি সয়ে।আধাঁর ঘরে ঢুকতে পারি এই সাহসের গুণে,আর করে
ঠিকানা
আরে আরে জগমোহন- এস ,এস,এস-বলতে পার কোথায় থাকে আদ্যনাথের মেশো?আদ্যনাথের নাম শোননি? খগেনকে তো চেনো?শ্যাম বাগচি খগেনেরই মামাশ্বশুর জেনো।শ্যামের জামাই
সৎপাত্র
শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে–তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে?গঙ্গারামকে পাত্র পেলে?জানতে চাও সে কেমন ছেলে?মন্দ নয় সে পাত্র ভালো–রঙ যদিও বেজায় কালো;তার
বুঝিয়ে বলা
ও শ্যামাদাস ! আয় ত দেখি ব’স তো দেখি এখেনে,সেই কথাটা বুঝিয়ে দেব পাঁচ মিনিটে, দেখে নে ।জ্বর হয়েছে ?