জসীম উদ্দীন
স্বাধীনতার সুখ
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে,তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
আমাদের গ্রাম
আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘরথাকি সেথা সবে মিলে কেহ নাহি পর।পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাইএকসাথে খেলি আর পাঠশালে
ম’রে যেতে সাধ হয়
শাহানা, তুমি গোলাপী জামা প’রে জীবন্ত গোলাপের মতোক্যাম্পাসে এসো না, আমার খারাপ লাগে। সখী পরিবৃতা হয়ে মোগল-দুহিতার মতোকরিডোরে অমন ক’রে
পড়শি
আমার একটা কদম বৃক্ষ আছে!আমি তাকে নীপ বলে ডাকি।আইনত গাছটা আমার নয়,আমি ঠিক তার পাশের বাসায় থাকি! কিন্তু তাকে ডেকে
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার দুঃখ হবি?এই আমি এক উড়নচণ্ডী আউলা বাউলরুখো চুলে পথের ধুলোচোখের নীচে কালো ছায়া।সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ
নীচুর কাছে নীচু হতে শিখলি না রে মন
নীচুর কাছে নীচু হতে শিখলি না রে মন,তুই সুখি জনের করিস পূজা, দুঃখীর অযতন।মূঢ় মন, সুখি জনের করিস পূজা, দুঃখীর
ওগো নিঠুর দরদী
ওগো নিঠুর দরদী, ও কি খেলছ অনুক্ষণ।তোমার কাঁটায় ভরা বন, তোমার প্রেমে ভরা মন,মিছে খাও কাঁটার ব্যথা, সহিতে না পার
হও ধরমেতে ধীর
হও ধরমেতে ধীর হও করমেতে বীর,হও উন্নত শির, নাহি ভয় |ভুলি ভেদাভেদ জ্ঞান, হও সবে আগুয়ান,সাথে আছে ভগবান,—হবে জয় |নানা
জল বলে চল, মোর সাথে চল
জল বলে চল, মোর সাথে চলতোর আঁখিজল, হবে না বিফল, কখনো হবে না বিফল।চেয়ে দেখ মোর নীল জলে শত চাঁদ
মানুষ
ছোটলোক ছোটজাত যারা মুখে আনেছোটলোক ছোটজাত তারা নিজেরাইমুখে না বলুক যারা মনে মনে ভাবেপরকে যা ভাবে তারা নিজেরাই তাই।ধরায় আসে
নেমন্তন্ন
যাচ্ছ কোথা?চাংড়িপোতা।কিসের জন্য?নেমন্তন্ন।বিয়ের বুঝি?না, বাবুজি।কিসের তবে?ভজন হবে।শুধুই ভজন?প্রসাদ ভোজন।কেমন প্রসাদ?যা খেতে সাধ।কী খেতে চাও?ছানার পোলাও।ইচ্ছে কী আর?সরপুরিয়ার।আঃ কী আয়েস।রাবড়ি পায়েস।এই
খুকু ও খোকা
তেলের শিশি ভাঙল বলেখুকুর পরে রাগ করোতোমরা যে সব বুড়ো খোকাভারত ভেঙে ভাগ করো!তার বেলা? ভাঙছ প্রদেশ ভাঙছ জেলাজমিজমা ঘরবাড়ীপাটের