জসীম উদ্দীন
বঙ্গবন্ধু
যতকাল রবে পদ্মা যমুনাগৌরী মেঘনা বহমানততকাল রবে কীর্তি তোমারশেখ মুজিবুর রহমান। চারিদিকে আজ রক্তগঙ্গাঅশ্রু গঙ্গা বহমাননেই নেই ভয় হবে হবে জয়জয় শেখ
মধুবন্তী
আমাকে ছিঁড়ছেকুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলছে মধুমন্তী,আমি শব্দ করতে পারছি নাআমার সব শব্দ গ্রাস করছে মধুমন্তী,শব্দের যন্ত্রনা এক সুখ থেকে আরেক
আর এক আরম্ভের জন্যে
আমি বিষের পাত্র ঠেলে দিয়েছিতুমি প্রসন্ন হও। আমি হাসি আর কান্নার পেছনে আমার প্রথম স্বপ্নকে ছুঁয়েছিতুমি প্রসন্ন হও। আমি অরণ্যের
স্বপ্ন দেখায়
আকাশে কোনোই আড়ম্বর নেইতবু এই মুহুর্তটা পেখম তুলে নাচেগুমট ভেঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া ছড়ায়।বাহবা তো দিতেই হয়কেন না এই কুহকধুসর পর্দা
গোপনতা
নানা গোপনতার মধ্যে আমি বাস করি,আমার পায়ের আঙুলে রেগে নুড়ি বাজলে আমি শুনি ঝর্ণাসে-আওয়াজ কি আর কারো কাছে পৌঁছয়?একটা ঝিঁঝির
সময়
সময়কে নিয়ে অনেক মজা দেখা গেল।কখনও তাকে ইন্দ্রধনুর রঙে রাঙানো হল,কখনও হাসিতে উছলে তোলা হলবা চাপা কান্নায় কাঁপানো হল,কখনও-বা তাকে
আর একটু থাকো
তোমাকে এই স্বরব্যঞ্জনে রেখেছি,তুমি তো মাঠের মেয়েখঞ্জনার নাচের মেয়ে,তুমি ডানা ঝাপটাচ্ছ অনবরত ।আর কতক্ষনই-বা তুমি থাকবে এখানেআমার এই কলমের নীচে?
শুনুন কমরেডস
সব সময় বিপ্লবের কথা না ব’লেযদি মাঝে মাঝে প্রেমের কথা বলি—আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস।সব সময় ইস্তেহার না লিখেযদি মাঝে মাঝে
এসো স্পর্শ করো
এসো। ছোঁও।সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা, দ্যাখো।পাথরের বুক থেকে মাংস নাও,পাঁজরের রিডে রিডে চাপ দাও দশটি আঙুলে, আমাকে বাজাও তুমি বিঠোফেন-বালিকার হাত, বলো— আমি প্রত্ন
তোমার ক্ষমায় স্নাত
মেঘের খোঁপায় ফুটেছে আলোর ফুল,তোমাকে কি দেব অনন্য উপহার ?কোন ঘাটে পারহ’তে চেয়েছিলে খুঁজে অনুকুল হাওয়া,নাবিক বাছো নি, এ-নৌকো বেয়ে
আমার নাম ভারতবর্ষ
স্টেন গানের বুলেটে বুলেটেআমার ঝাঁঝরা বুকের উপরে ফুটে উঠেছে যে মানচিত্র—তার নাম ভারতবর্ষ। আমার প্রতিটি রক্তের ফোঁটা দিয়েচা-বাগিচায় কফি খেতে,কয়লা-খাদানে,
এই স্পার্টাকাস-রাত
আজ রাতে যখন চারপাশ সুনসান,মশারির অনের নিচু থেকে অম্লজান টানার শব্দ,গলি-উপগলি-কানাগলির শিরায়, টানেলে ঝুপঝাপ অন্ধকার,গাড়িবারান্দার নীচে ঘর-ছুট্ মানুষ আর আকাশেরঅশ্রুর লবণ মিলে-মিশে একাকার, শ্যামবাজারের পঞ্চমুখী