জসীম উদ্দীন

কাঠের চেয়ার

কাঠের চেয়ারে বসে থাকতে থাকতেমানুষও একদিন কাঠ হয়ে যায়।তার পায়ের আঙুলগুলোশিকড় হয়ে চাড়িয়ে যায় মেঝের ভেতর।তার কোমর থেকেসোঁদরি, গরান, গঁদের

বাকি অংশ »

পিঁপড়ে

আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ঘুরুক দেখুক থাকুককেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা —স্তব্ ধ শুধু চলায় কথা বলা —আলোয়

বাকি অংশ »

বড়োবাবুর কাছে নিবেদন

তালিকা প্রস্তুতকী কী কেড়ে নিতে পারবে না-হই না নির্বাসিত-কেরানি।বাস্তুভিটে পৃথিবীটার সাধারণ অস্তিত্ব।যার এক খন্ড এই ক্ষুদ্র চাকরের আমিত্ব।যতদিন বাঁচি, ভোরের

বাকি অংশ »

বৃষ্টি 

কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে।ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে।শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার।লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী;আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানেইন্দ্রমেঘ;কালো

বাকি অংশ »

কোথায় চলছে পৃথিবী 

তোমারও নেই ঘরআছে ঘরের দিকে যাওয়া।সমস্ত সংসারহাওয়াউঠছে নীল ধূলোয় সবুজ অদ্ভূত;দিনের অগ্নিদূতআবার কালো চক্ষে বর্ষার নামে ধার।কৈলাস মানস সরোবরঅচেনা কলকাতা

বাকি অংশ »

জেলখানার চিঠি 

প্রিয়তমা আমারতেমার শেষ চিঠিতেতুমি লিখেছ ;মাথা আমার ব্যথায় টন্ টন্ করছেদিশেহারা আমার হৃদয়। তুমি লিখেছ ;যদি ওরা তেমাকে ফাঁসী দেয়তেমাকে

বাকি অংশ »

স্টোরি অব বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বাংলাদেশের কাহিনি সে তো আইনপ্রসূত আদেশ পালনে সিদ্ধ অন্ধদের হাতে নতুন করে গড়া সেই প্রাচীন কাহিনি যে আইনের ওপর

বাকি অংশ »

বাংলাদেশ

বন্ধু আমার এল একদিন চোখভরা তার ধু ধু হাহাকার বলল কেবল সহায়তা চাই বাঁচাতে হবে যে দেশটাকে তার বেদনা যদি

বাকি অংশ »

যশোর রোডে সেপ্টেম্বর

লক্ষশিশু দেখছে আকাশ অন্ধকার উদর স্ফীত, বিষ্ফোরিত চোখের ধার যশোর রোডে-বিষন্ন সব বাঁশের ঘর ধুঁকছে শুধু, কঠিন মাটি নিরুত্তর।  লক্ষ

বাকি অংশ »

আমার বিষন্ন সত্তা 

কখনও কখনও আমার চোখ রক্তাভ হয়ে এলেআরসিএ ভবনের একেবারে উপরে উঠে যাই,আমার পৃথিবীর দিকে অপলক চেয়ে থাকি, ম্যানহাটান —ভবনগুলো, সড়কগুলো,

বাকি অংশ »
Scroll to Top