জসীম উদ্দীন
ইতল বিতল
ইতল বিতল গাছের পাতাগাছের তলায় ব্যাঙের মাথা।বৃষ্টি পড়ে ভাঙ্গে ছাতাডোবায় ডুবে ব্যাঙের মাথা।
প্রার্থনা
তুলি দুই হাত করি মোনাজাতহে রহিম রহমানকত সুন্দর করিয়া ধরণীমোদের করেছ দান, গাছে ফুল ফলনদী ভরা জলপাখির কন্ঠে গানসকলি তোমার
ছোটন ঘুমায়
গোল করো না গোল করো নাছোটন ঘুমায় খাটে।এই ঘুমকে কিনেত হলনওয়াব বাড়ির হাটে।সোনা নয় রুপা নয়দিলাম মোতির মালাতাইতো ছোটন ঘুমিয়ে
তাহারেই পড়ে মনে
হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়,বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-দখিন দুয়ার গেছে
আজিকার শিশু
আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলাতোমরা এ যগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা।আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়িতোমরা
তোমায় আমি
তোমায় আমি দেখেছিলাম বলেতুমি আমার পদ্মপাতা হলে;শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরেশুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরেখুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে। নদী
নির্জন স্বাক্ষর
তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে-আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে!যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে,পথের পাতার মতো তুমিও
আমাকে একটি কথা দাও
আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতোসহজ মহৎ বিশাল,গভীর; – সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তেমলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের
এই জল ভালো লাগে
এই জল ভালো লাগে; বৃষ্টির রূপালি জল কত দিন এসেধুয়েছে আমার দেহ — বুলায়ে দিয়েছে চুল — চোখের উপরেতার শান
তোমাকে
একদিন মনে হতো জলের মতন তুমি।সকালবেলার রোদে তোমার মুখের থেকে বিভা–অথবা দুপুরবেলা — বিকেলের আসন্ন আলোয়–চেয়ে আছে — চলে যায়
কুড়ি বছর পরে
আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা যদি হয়আবার বছর কুড়ি পরে-হয়তো ধানের ছড়ার পাশেকার্তিকের মাসে-তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে-
বুনো হাঁস
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে-জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহবানেবুনো হাঁস পাখা মেলে- শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার;এক-দুই-তিন