জসীম উদ্দীন
একদিন কুয়াশার এই মাঠে
একদিন কুয়াশার এই মাঠে আমারে পাবে না কেউ খুঁজে আর, জানি;হৃদয়ের পথ চলা শেষ হল সেই দিন -গিয়েছে যে শান
বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,সিংহল সমুদ্র থেকে আরো দূর অন্ধকারে মালয় সাগরেঅনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর
আসমানী
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে
খুকির সম্পত্তি
শিউলি নামের খুকির সনে আলাপ আমার অনেক দিনের থেকেহাসিখুশি মিষ্টমিশি অনেক কথা কই যে তারে ডেকে।সেদিন তার কইনু ‘খুকি- কী
রাখাল ছেলে
“রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক ফিরে চাও,বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?” ‘ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁকলার
মামার বাড়ি
আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা,ফুল তুলিতে যাইফুলের মালা গলায় দিয়েমামার বাড়ি যাই।মামার বাড়ি পদ্মপুকুরগলায় গলায় জল,এপার হতে ওপার গিয়েনাচে ঢেউয়ের দল।
পালের নাও
পালের নাও, পালের নাও, পান খেয়ে যাও–ঘরে আছে ছোট বোনটি তারে নিয়ে যাও।কপিল-সারি গাইয়ের দুধ যেয়ো পান করে’কৌটা ভরি সিঁদুর
এত হাসি কোথায় পেলে
এত হাসি কোথায় পেলেএত কথার খলখলানিকে দিয়েছে মুখটি ভরেকোন বা গাঙের কলকলানি।কে দিয়েছে রঙিন ঠোঁটেকলমী ফুলের গুলগুলানি।কে দিয়েছে চলন বলনকোন
প্রতিদান
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাধি তার ঘর,আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।যে মোরে করিল পথের বিবাগী;পথে
ফুটবল খলোয়াড়
আমাদের মেসে ইমদাদ হক ফুটবল খেলোয়াড়,হাতে পায়ে মুখে শত আঘাতের ক্ষতে খ্যাতি লেখা তার।সন্ধ্যা বেলায় দেখিবে তাহারে পটি বাঁধি পায়ে
নিমন্ত্রণ
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;মায়া মমতায় জড়াজড়ি করিমোর গেহখানি
অনুরোধ
তুমি কি আমার গানের সুরের পূবালী বাতাস হবে, তুমি কি আমার মনের বনের বাঁশীটি হইয়া রবে! রাঙা অধরের রামধনুটিরে, ছড়াবে