মহাদেব সাহা
কেউ নেই
আমি ভাবতাম পথ হাঁটলেই পথ ফুরোবেকাঁটা ডিঙালেই শিশিরভেজা আস্ত গোলাপ।আমি ভাবতাম রাত পোহালেই সকাল হবে রোজ,
নির্বাসন
মেঘের ভেতর বৃষ্টি খুঁজতে গিয়েআমি নির্বাসিত নিদাঘ দহনেচাঁদের কাছে জোছনা ছাড়া আর কিছুই চাইনিঅথচ বৃষ্টি এলো উত্তুরে হাওয়ায় পৌষের হিমে।
একটা দুঃসংবাদ আছে
একটা দুঃসংবাদ আছে,যারা আমাকে ভেঙেচুরেটুকরো কাঁচের মতো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলদুঃসংবাদটি তাদের জন্য যারা ভেবেছিলেআমি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেআর কখনো উঠে
কবর
এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,পুতুলের বিয়ে
মেঘনায় ঢল
শোন্ মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করি মাঠে চল,এল মেঘনায় জোয়ারের বেলা এখনি নামিবে ঢল।নদীর কিনার ঘন ঘাসে
এমন যদি হতো
এমন যদি হতোইচ্ছে হলে আমি হতামপ্রজাপতির মতোনানান রঙের ফুলের পরেবসে যেতাম চুপটি করেখেয়াল মতো নানান ফুলেরসুবাস নিতাম কতো ।এমন হতো
গানের গুঁতো
গান জুড়েছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা ।আওয়াজখানা দিচ্ছে হানা দিল্লী থেকে বর্মা !গাইছে ছেড়ে প্রাণের মায়া, গাইছে তেড়ে প্রাণপণ,ছুটছে লোকে চারদিকেতে
গন্ধ বিচার
সিংহাসনে বস্ল রাজা বাজল কাঁসর ঘন্টা,ছট্ফটিয়ে উঠল কেঁপে মন্ত্রীবুড়োর মনটা ৷বল্লে রাজা, মন্ত্রী তোমার জামায় কেন গন্ধ ?মন্ত্রী বলে, এসেন্স
ঝুমকো জবা
ঝুমকো জবা বনের দুলউঠল ফুটে বনের ফুল।সবুজ পাতা ঘোমটা খোলে, ঝুমকো জবা হাওয়ায় দোলে।সেই দুলুনির তালে তালে,মন উড়ে যায় ডালে ডালে।
খোকন গেছে ক্ষীরসাগরে
আলুর পাতা আলুথালু বেগুন পাতায় দই,সাতটা কাকে খেয়ে গেল, খোকন গেল কই?খোকন গেছে পাঠশালাতে লাল গামছা গায়,বইগুলো সব রইল পড়ে
খেল
হাতী নাচছে ঘোড়া নাচছেকদমতলায় কে?সিংহ বলে, আমায় তোরাখ্যাংড়া কাঠি দেয়। হাতী নাচছে ঘোড়া নাচছে,ভালুক নাচে রে।সেই না নাচন দেখে ঈগলবিষম
খুকুমণির বিয়ে
আয়রে আয় টিয়ে,খুকুমণির বিয়ে।সোনার মাদুর পেতেলংকা দেব খেতে।আয়রে টিয়ে ছুটে,ছোলা খাবি খুঁটেটুকটুকে ঠোঁট দিয়ে।লাল জুতুয়া প’রেবর আসবে ঘরে।হেই টিয়ে তুই