মহাদেব সাহা
যেতে পারবে?
এই যে তুমি বার বার চলে যাই বলোধরো তুমি চলে গেছোখানিকক্ষণ পর ফিরে এসে যদি দেখোকষ্টে ভিজে যাচ্ছে আমার বুকআমার
আর কার কাছে পাবো
এতোটুকু স্নেহ আর মমতার জন্য আমি কতোবারনিঃস্ব কাঙালের মতো সবুজ বৃক্ষের কাছে যাই-হে বৃক্ষ আমাকে তুমি এতোটুকু ভালোবাসা দাও,বনস্পতি আমাকে
তোমার বাড়ি
এই বাড়িটি একলা বাড়ি কাঁপছে এখন চোখের জলেভালোবাসার এই বাড়িতে তুমিও নেই, তারাও নেই!এই বাড়িটি সন্ধ্যা-সকাল তাকিয়ে আছে নগ্ন দুচোখএকলা
তোমাকে ডাকার স্বাধীনতা
আজ এ-বৎসরের শেষ রবিবারেসমস্ত শহর করে তোলপাড়গ্রীসীয় যুবার মতো ভুঁড়ে দেবো শব্দের মাতাল নিনাদআমার প্রেমিকা, প্রিয়তমা নারীউদ্দেশে তোমার;তোমাকে ডাকবো আমি
আমার সোনার বাংলা
আমি যে দেশকে দেখি সে কি এই স্বপ্নভূমি থেকে জেগে ওঠাবহুদূরব্যাপী কল্লোলিত, সে কি রূপসনাতনসে কি আমার সোনার বাংলা, কোনো
অস্তমিত কালের গৌরব
বিশ শতকের এই গোধূলিবেলায় হঠাৎ কেমনএলোমেলো ধূলিঝড়কেমন উদ্ভট উল্টোপাল্টা হাওয়া,যেন ঝরে যায় সব মানবিক মূল্যবোধ, ইতিহাসেরস্বর্ণাক্ষরে লেখা একেকটি পাতা।এ কী
তোমার জন্য
তোমার জন্য জয় করেছি একটি যুদ্ধএকটি দেশের স্বাধীনতা,তোমার হাসি, তোমার মুখের শব্দগুলিসেই নিরালা দূর বিদেশে আমার ছিলো সঙ্গী এমন,অস্ত্র কিংবা
অপেক্ষা
তোমার একটু দেখা পাবো বলেএককোটি বছর দাঁড়িয়ে আছিএই চৌরাস্তায়শুধু একবার দেখবো তোমাকেশুধু তার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষাএই ঢেউ গোনা ;কতো অশ্রুজল
ভালোবাসার আয়ু
ভালোবাসি বলার আগেইফুরিয়ে যায় আমাদের ভালোবাসার সময়,প্রেমের আগেই শুরু হয়অন্তর বিরহ-মনে হয় সবচেয়ে কম মানুষের এই ভালোবাসার সময়খুব দ্রুত শেষ
যতদিন বাঁচি
যতদিন বাঁচি দু চোখ খুলে যেন, তোমাকেই দেখতে পাইদৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে অন্ধ যেমনদেখতে চায় তার প্রিয় মুখআমিও তেমনি, চোখ খুলে
মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস
কেউ জানেনা একেকেটি মানুষ বুকের মধ্যে কী গভীর দীর্ঘশ্বাসনিয়ে বেড়ায়-কোনো বিষন্ন ক্যাসেটেও এতো বেদনার সংগ্রহ নেই আর,এই বুকের মধ্যে দীর্ঘশ্বাসের
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠিকতোবার দ্বারস্ত হয়েছি আমিগীতিকবিতার,কতোদিন মুখস্ত করেছি এই নদীর কল্লোলকান পেতে শুনেছি ঝর্ণার গান,বনে বনে ঘুরে আহরণ