মহাদেব সাহা
আসমানী
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে
কৃপণ
আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেমগ্রামের পথে পথে,তুমি তখন চলেছিলেতোমার স্বর্ণরথে।অপূর্ব এক স্বপ্ন-সমলাগতেছিল চক্ষে মম-কী বিচিত্র শোভা তোমার,কী বিচিত্র সাজ।আমি মনে ভাবেতেছিলেম,এ
আত্মত্রাণ
বিপদে মোরে রক্ষা করো,এ নহে মোর প্রার্থনা-বিপদে আমি না যেন করি ভয়।দুঃখতাপে ব্যথিত চিতেনাই বা দিলে সান্ত্বনা,দুঃখে যেন করিতে পারি
এক গাঁয়ে
আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি।সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ।তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখিতাহার গানে আমার নাচে বুক।তাহার দুটি পালন-করা ভেড়াচরে
আমি কোনো আগন্তুক নই আহসান হাবীব
আসমানের তারা সাক্ষীসাক্ষী এই জমিনের ফুল, এইনিশিরাইত বাঁশবাগান বিস্তর জোনাকি সাক্ষীসাক্ষী এই জারুল জামরুল, সাক্ষীপুবের পুকুর, তার ঝাকড়া ডুমুরের ডালে
নিষিদ্ধ জার্নাল থেকে
ভোরের আলো এসে পড়েছে ধ্বংসস্তূপের ওপর।রেস্তোরাঁ থেকে যে ছেলেটা রোজপ্রাতরাশ সাজিয়ে দিত আমার টেবিলেরাস্তার মোড়ে তাকে দেখলাম শুয়ে আছে রক্তাপুত
সেই মানুষটি যে ফসল ফলিয়েছিল
সেই বিরাট খামারটাতে কখনো বৃষ্টি হয় নাআমারই কপালের ঘাম দিয়ে গাছগুলোকে তৃষ্ণা মেটাতে হয়সেখানে যে কফি ফলে, আর চেরি গাছে
মে-দিনের কবিতা
প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্যধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্যকাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া। চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,গান
মাতৃভূমি, কী যেন তোমার নাম ছিলো?
পাঠ্যবই থেকে অপমানে ঝরে পড়েগৌরবের পঙক্তিমালা—৭ই মার্চ প্রশ্ন করে ২৬শে মার্চকেতুমি কি শুনতে পাওজনসমুদ্রে জোয়ারের ধ্বনি?বাংলার বধির পাহাড়ওলজ্জায় নত হয়,সাগরের
ত্রাণ
এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে, হে মঙ্গলময়,দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয় –লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয় আর।দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভারএই চির