মহাদেব সাহা
ঈশ্বর হোক সবার
তিনি তো তোমাদের একার ঈশ্বর নন।তিনি হয়তো ডলফিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন-তিনি হয়তো সাগরের মোনাজাত কবুল করেছেন-তিনি হয়তো বনের প্রার্থনা মন
আমি মহাপৃথিবী বলছি
মানুষ, হে মানুষ!ভোগবিলাসী মানুষ; একবার চোখ বুজে ভেবে দেখতুমি রোজ কতটা খাও, যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে কত বেশি?তোমার সংগ্রহে রেখেছ
চাতাল হাট
জানালার পাট খুলতে গিয়ে কারো হাতের আঙুলেরদিকে তাকিয়ে থাকা একটি রাজনৈতিক ঘটনা।কোন তরকারিতে কতটা কড়কড়ে নুন দিতে হবেআর ভাতের সঙ্গে
বাংলা কবিতা নিয়ে নিউইয়র্কে অনন্য আয়োজন ‘পড়শি কাব্য’
নিউইয়র্কে হয়ে গেলো বাংলা কবিতা নিয়ে অনন্য ও অনবদ্য এক আয়োজন ‘পড়শি কাব্য’। গত ৬ জানুয়ারি (শনিবার) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব
কুয়ার ধারে
তোমার কাছে চাই নি কিছু,জানাই নি মোর নাম–তুমি যখন বিদায় নিলেনীরব রহিলাম।একলা ছিলেম কুয়ার ধারেনিমের ছায়াতলে,কলস নিয়ে সবাই তখনপাড়ায় গেছে
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুররবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিনের আলো নিবে এল,সুয্যি ডোবে-ডোবে।আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছেচাঁদের লোভে লোভে।মেঘের উপর মেঘ করেছে–রঙের উপর রঙ,মন্দিরেতে
জন্মকথা
খোকা মাকে শুধায় ডেকে–“এলেম আমি কোথা থেকে,কোন্খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে।’মা শুনে কয় হেসে কেঁদেখোকারে তার বুক বেঁধে–“ইচ্ছা হয়ে ছিলি
পূজার সাজ
আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজিপূজার সময় এল কাছে।মধু বিধু দুই ভাই ছুটাছুটি করে তাইআনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।পিতা বসি ছিল দ্বারে
দুই আমি
বৃষ্টি কোথায় নুকিয়ে বেড়ায়উড়ো মেঘের দল হয়ে,যেই দেখা দেয় আর-এক ধারায়শ্রাবণ-ধারার জল হয়ে।আমি ভাবি চুপটি করেমোর দশা হয় ঐ যদি!কেই
খেলা-ভোলা
তুই কি ভাবিস, দিনরাত্তির খেলতে আমার মন?কক্ষনো তা সত্যি না, মা, আমার কথা শোন্।সেদিন ভোরে দেখি উঠে বৃষ্টিবাদল গেছে ছুটে,রোদ
দুয়োরানী
ইচ্ছে করে মা, যদি তুইহতিস দুয়োরানী!ছেড়ে দিতে এমনি কি ভয়তোমার এ ঘরখানি।ঐখানে ঐ পুকুরপারেজিয়ল গাছের বেড়ার ধারেও যেন ঘোর বনের
পুতুল ভাঙা
সাত-আটটে সাতাশ’, আমি বলেছিলাম বলেগুরুমশায় আমার ‘পরে উঠল রাগে জ্বলে।মা গো, তুমি পাঁচ পয়সায় এবার রথের দিনেসেই যে রঙিন পুতুলখানি