মহাদেব সাহা
বোঝাপড়া
মনেরে আজ কহ যে,ভালো মন্দ যাহাই আসুকসত্যেরে লও সহজে।কেউ বা তোমায় ভালোবাসেকেউ বা বাসতে পারে না যে,কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ
সংশয়ী
কোথায় যেতে ইচ্ছে করেশুধাস কি মা , তাই ?যেখান থেকে এসেছিলেমসেথায় যেতে চাই ।কিন্তু সে যে কোন্ জায়গাভাবি অনেকবার ।মনে
দুঃখহারী
মনে করো, তুমি থাকবে ঘরে,আমি যেন যাব দেশান্তরে।ঘাটে আমার বাঁধা আছে তরী,জিনিসপত্র নিয়েছি সব ভরি—ভালো করে দেখ্ তো মনে করিকী
দূর
পুজোর ছুটি আসে যখনবকসারেতে যাবার পথে —দূরের দেশে যাচ্ছি ভেবেঘুম হয় না কোনোমতে ।সেখানে যেই নতুন বাসায়হপ্তা দুয়েক খেলায় কাটেদূর
বাঁশি
কিনু গোয়ালার গলি।দোতলা বাড়িরলোহার-গরাদে-দেওয়া একতলা ঘরপথের ধারেই।লোনা-ধরা দেওয়ালেতে মাঝে মাঝে ধসে গেছে বালি,মাঝে মাঝে স্যাঁতা-পড়া দাগ।মার্কিন থানের মার্কা একখানা ছবিসিদ্ধিদাতা
অন্তর মম বিকশিত করো
অন্তর মম বিকশিত করোঅন্তরতর হে।নির্মল করো উজ্জ্বল করো,সুন্দর করো হে।জাগ্রত করো, উদ্যত করো,নির্ভয় করো হে।মঙ্গল করো, নিরলস নিঃসংশয় করো হে।অন্তর
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ
আজি এ প্রভাতে রবির করকেমনে পশিল প্রাণের ‘পর,কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত-পাখির গান!না জানি কেন রে এতদিন পরে জাগিয়া উঠিল
দুঃসময়
যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন
সন্ধ্যা ও প্রভাত
এখানে নামল সন্ধ্যা। সূর্যদেব, কোন্ দেশে, কোন্ সমুদ্রপারে, তোমার প্রভাত হল।অন্ধকারে এখানে কেঁপে উঠছে রজনীগন্ধা, বাসরঘরের দ্বারের কাছে অবগুণ্ঠিতা নববধূর
দুজনে দেখা হল
দুজনে দেখা হল মধুযামিনী রে–কেন কথা কহিল না, চলিয়া গেল ধীরে॥নিকুঞ্জে দখিনাবায় করিছে হায়-হায়,লতাপাতা দুলে দুলে ডাকিছে ফিরে ফিরে॥দুজনের আঁখিবারি
সাধারণ মেয়ে
আমি অন্তঃপুরের মেয়ে,চিনবে না আমাকে।তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু,“বাসি ফুলের মালা’।তোমার নায়িকা এলোকেশীর মরণ-দশা ধরেছিলপঁয়ত্রিশ বছর বয়সে।পঁচিশ বছর বয়সের
বাঁশিওআলা
“ওগো বাঁশিওআলা,বাজাও তোমার বাঁশি,শুনি আমার নূতন নাম”— এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখেছি,মনে আছে তো?আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে।সৃষ্টিকর্তা পুরো সময়