মহাদেব সাহা
দেশলাই কাঠি
আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠিএত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি নাঃতবু জেনোমুখে আমার উসখুস করছে বারুদ-বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;আমি
অনুভব
। ১৯৪০।অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমিজন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।অবাক পৃথিবী! আমরা যে পরাধীনঅবাক, কী দ্রুত জমে ক্রোধ দিন দিন;অবাক পৃথিবী!
পুরানো ধাঁধাঁ
বলতে পারো বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে?গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?বড়মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি,গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি?বলতে
হে মহাজীবন
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়এবার কঠিন কঠোর গদ্যে আনো,পদ-লালিত্য-ঝঙ্কার মুছে যাকগদ্যের করা হাতুড়িকে আজ হানো।প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-কবিতা তোমায়
দুর্মর
হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশকেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে,সে কোলাহলে রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ।জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে। হঠাৎ
প্রিয়তমাসু
সীমান্তে আজ আমি প্রহরী।অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম ক’রেআজ এখানে এসে থমকে দাড়িয়েছি-স্বদেশের সীমানায়।দূসর তিউনিসিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী,স্নিগ্ধ ইতালী থেকে ছুটে
আমরা এসেছি
কারা যেন আজ দুহাতে খুলেছে, ভেঙেছে খিল,মিছিলে আমরা নিমগ্ন তাই, দোলে মিছিল।দু:খ-যুগের ধারায় ধারায়যারা আনে প্রাণ, যারা তা হারায়তারাই ভরিয়ে
জনতার মুখে ফোঁটে বিদ্যুতবানী
কত যুগ, কত বর্ষান্তের শেষেজনতার মুখে ফোটে বিদ্যুৎবাণী;আকাশে মেঘের তাড়াহুড়ো দিকে দিকেবজ্রের কানাকানি।সহসা ঘুমের তল্লাট ছেড়েশান্তি পালাল আজ।দিন ও রাত্রি
মুখোমুখি দাঁড়াবার দিন
মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়,শত্রু কে চিনে গেছে অমিত মানুষ,হৃদয় জেনেছে ঠিক কতোটা পচন—মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়। বুঝেছে জীবন তার কোথায়
মিছিল
যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই।যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি,আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র
ফাঁসির মঞ্চ থেকে
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আমাদের যাত্রার শুরু।এক একটি জন্মের সমান মেধাবী মৃত্যুএক একটি প্রতিজ্ঞা-পুষ্ট মৃত্যুর সোপানদুর্যোগ-অন্ধকারে তুলে রাখে সূর্যময় হাত—তুমুল তিমিরে
মুখোমুখি
আমরা কথা বলতে চাই,আমরা আমাদের ক্ষুধার কথা বলতে এসেছি;আমরা কথা বলবো । তোমরা সঙ্গিন উঁচিয়ে আছোতোমরা রাইফেল তাক কোরে রেখেছোতোমরা