দাঁড়াও, নিজেকে প্রশ্ন করো- কোন পক্ষে যাবে? রাইফেল তাক কোরে আছো মানুষের দিকে ।সঙ্গিন উচিয়ে আছো ধূর্ত নেকড়ের মতো ।পায়ে

পৃথিবীতে মানুষ তখনও ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি ।ভুমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো ।তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান । অরন্য আর

ফুলের পোশাকে ঢাকা শরীর, দারুন মাংশভুক পাখি,ওই শকুন, ওই হিংস্র গোপন নোখ জু্ড়ে থাকা শত্রু-স্বভাব,আমাদের দিন থেকে খেয়ে যাবে প্রিয়তম

বার বার বাঁশি তো বাজে না, বাঁশি শুধু একবারই বাজে।তামাটে কিশোর তুই সারারাত বাজালি নিশিথ,বাজালি ব্যথার হাড়, প্রিয় বুক, হিমেল-খোয়াব।রজনী

একবার বৃষ্টি হোক, অবিরাম বৃষ্টি হোক উষর জমিনে,নিরীহ রক্তের দাগ মুছে নিক জলের প্লাবন,মুছে নিক পরাজিত ব্যর্থ বাসনার গান, গ্লানির

আমরা কি পরস্পরকে অবিশ্বাস করছি !আমাদের ভালো-লাগাগুলো বিতর্কিত হয়ে উঠছে।আমাদের চোখ ক্রমশ উদাসিন হয়ে উঠছে।আমাদের স্পর্শগুলো অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে।আমার কি

সেই থেকে মনে আছে–কপালের ডান পাশে কালো জন্ম-জড়ুলচুলের গন্ধে নেমে আসা দেবদারু-রাতেকতোটা বিভোর হতে পারে উদাস আঙুল,সেই প্রথম অভিজ্ঞতা, সেই

উঁহু,ওভাবে নয়—ওভাবে দৃষ্টি ফেরাতে নেই,ওরকম প্রত্যাখ্যান স্বাস্থ্যসম্মত নয়।ঠিক ওভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হয় না—কিছুটা শিল্পিত হও, না হলে অনিদ্রাকেইচ্ছাহীন ভালোবেসে বাড়বে

যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখতারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধিধর্মান্ধ পিশাচ

খুব কাছে এসো না কোন দিনযতটা কাছে এলে কাছে আসা বলে লোকেএ চোখ থেকে ঐ চোখের কাছে থাকাএক পা বাড়ানো

আমার এখন সমস্তটাই স্মৃতিসৌধ,হৃৎপিন্ডে পিন ফোটানোকালো ব্যাজের মৌন বিষাদ,একুশে ভোর, নগ্ন পায়ে শহীদ মিনার,আমার এখন সমস্তটুক্ এক মিনিটের নীরবতা। দু’চোখ

সারারাত স্বপ্ন দেখি, সারাদিন স্বপ্ন দেখিযে-রকম আকাশ পৃথিবী দ্যাখে, পৃথিবী আকাশ,একবার অন্ধকারে, একবার আলোর ছায়ায়একবার কুয়াশা-কাতর চোখে, একবার গোধুলির ক্লান্ত