মহাদেব সাহা
আমি লিখিনি
কোথাও ছাপার ভুল হয়ে গেছে৷ ভীষণ, বিচ্ছিরিএ পদ্য আমার নয়, এই আলপনা, এই পিঁড়ি;এই ছবি আমি তো আঁকিনি,এই পদ্য আমি
ভুল
কোনটা যে চন্দ্রমল্লিকার ফুলআর কোনতা যে সূর্যমুখী –বারবার দেখেওআমার ভুল হয়ে যায়,আমি আলাদা করতে পারি না৷ওলকপি এবং শালগম,মৃগেলের বাচ্চা এবং
দারিদ্র্য রেখা
আমি নিতান্ত গরীব ছিলাম, খুবই গরীব।আমার ক্ষুধার অন্ন ছিল না,আমার লজ্জা নিবারণের কাপড় ছিল না,আমার মাথার উপরে আচ্ছাদন ছিল না।অসীম
ঈশ্বর আর প্রেমিকের সংলাপ
– ‘সে যদি তোমাকে অগ্নিতে ফেলে মারে?’বিনা চেষ্টায় মরে যাব একেবারে — ‘সে যদি তোমাকে মেঘে দেয় উত্থান?’বৃষ্টিতে, আমি বৃষ্টিতে
মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়
বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাবোবেণীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাবো?বেণীমাধব, মোহনবাঁশি তমাল তরুমূলেবাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী ইস্কুলেডেস্কে বসে অঙ্ক
আমরা তো অল্পে খুশি
আমরা তো অল্পে খুশি,কী হবে দুঃখ করে?আমাদের দিন চলে যায়সাধারণ ভাতকাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদেরঅসুখে ধারদেনাতেরাত্তিরে দুভায়ে মিলেটান দিই গঞ্জিকাতে।
বৃষ্টি ভেজা বাংলা ভাষা
কে মেয়েটি হঠাৎ প্রণাম করতে এলে ?মাথার ওপর হাত রাখিনিতোমার চেয়েও সসংকোচে এগিয়ে গেছিতোমায় ফেলেময়লা চটি, ঘামের গন্ধ নোংরা গায়ে,হলভরা
হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে
অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলেহৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলেকরো আনন্দ আয়োজন করে পড়োলিপি চিত্রিত লিপি আঁকাবাঁকা পাহাড়ের সানুতলেযে
বাংলার গা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
১বাংলার গা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে,রক্তগড়িয়ে পড়ছে…কেউ ছুটে গেল খালের ওদিকেবুক ফাটা গলায় কার মা ডাকল : “রবি রে…”উত্তরের পরিবর্তে,
সুরঞ্জনা
সুরঞ্জনা, আজো তুমি আমাদের পৃথিবীতে আছ;পৃথিবীর বয়সিনী তুমি এক মেয়ের মতন;কালো চোখ মেলে ওই নীলিমা দেখেছ;গ্রীক হিন্দু ফিনিশিয় নিয়মের রূঢ়
দুজন
‘আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকেখুঁজি নাকো;- এক নক্ষত্রের নিচে তবু-একই আলোপৃথিবীর পারেআমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা
হায় চিল
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!তোমার কান্নার সুরে বেতের