মহাদেব সাহা
কে তুমি
( ১ )কে তুমি? — কে তুমি?ওগো প্রাণময়ী,কে তুমি রমণী-মণি!তুমি কি আমার, হৃদি-পুষ্প-হারপ্রেমের অমিয় খনি!কে তুমি রমণী-মণি? ( ২ )কে
নিবেদন
১আঁধারে এসেছি আমিআধারেই যেতে চাই !তোরা কেন পিছু পিছুআমারে ডাকিস্ ভাই !আমিতো ভিখারী বেশেফিরিতেছি দেশে দেশেনাহি বিদ্যা, নাহি বুদ্ধিগুণ তো
সায়াহ্নে
হে পান্থ, কোথায় যাও কোন্ দূরদেশেকার আশে? সে কি তোমা করিছে আহ্বান?সম্মুখে তামসী নিশা রাক্ষসীর বেশেশোন না কি চারিদিকে মরণের
স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়েলক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছেভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান
তখন সত্যি মানুষ ছিলাম
নদীর জলে আগুন ছিলোআগুন ছিলো বৃষ্টিতেআগুন ছিলো বীরাঙ্গনারউদাস-করা দৃষ্টিতে।আগুন ছিলো গানের সুরেআগুন ছিলো কাব্যে,মরার চোখে আগুন ছিলোএ-কথা কে ভাববে?কুকুর-বেড়াল থাবা
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,তোমাকে পাওয়ার জন্যেআর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ? তুমি আসবে ব’লে,
আসাদের শার্ট
গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তকরবীর মতো কিংবা সূর্যাস্তেরজ্বলন্ত মেঘের মতো আসাদের শার্টউড়ছে হাওয়ায় নীলিমায় । বোন তার ভায়ের অম্লান শার্টে দিয়েছে লাগিয়েনক্ষত্রের
সংগ্রাম চলবেই
রক্তচোখের আগুন মেখে ঝলসে যাওয়া আমার বছরগুলোআজকে যখন হাতের মুঠোয় কণ্ঠনালীর খুন পিয়াসী ছুরিকাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছে
সংগ্রাম চলবেই
জনতার সংগ্রাম চলবেই,আমাদের সংগ্রাম চলবেই। হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানেবাঁচবার অধিকার কাড়তেদাস্যের নির্মোক ছাড়তেঅগণিত মানুষের প্রাণপণ যুদ্ধচলবেই চলবেই,আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
আমি কিংবদন্তির কথা বলছিআমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিলতাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল। তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা
বাতাসে লাশের গন্ধ
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাইআজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে-এদেশ কি ভুলে
শহীদদের প্রতি
তোমাদের যা বলার ছিলবলছে কি তা বাংলাদেশ ?শেষ কথাটি সুখের ছিল ?ঘৃণার ছিল ?নাকি ক্রোধের,প্রতিশোধের,কোনটা ছিল ?নাকি কোনো সুখেরনাকি মনে