মহাদেব সাহা
একুশের গান
একুশ মানেই আসছেসালাম ফিরে আসছে, বরকত ফিরে আসছেতাজুল ফিরে আসছে….একুশ মানেই মুক্তিযুদ্ধ ফিরে আসছেসেই সাহসে বুক-পেতে-দেয়া তারুণ্য ফিরে আসছেতারুণ্যের চোখে
একুশের কবিতা
ভিতরমহলে খুব চুনকাম, কৃষ্ণচূড়াএই তো ফোটার আয়োজনবাড়িঘর কী রকম যেন তাকে হলুদ অভ্যাসবশে চিনি,হাওয়া একে তোলপাড় করে বলে, একুশের ঋতু!ধীরে
স্মৃতিস্তম্ভ
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু,আমরা এখনোচারকোটি পরিবারখাড়া রয়েছি তো । যে-ভিৎ কখনো কোনো রাজন্যপারেনি ভাঙতেহীরের মুকুট নীল পরোয়ানা
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারিআমি কি ভুলিতে পারিছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু ঝরা এ ফেব্রুয়ারিআমি কি ভুলিতে পারিআমার সোনার দেশের
কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি
এখনো যারা প্রাণ দিয়েছেরমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার তলায়যেখানে আগুনের ফুলকির মতোএখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপসেখানে আমি কাঁদতে আসিনি।আজ আমি শোকে
বাংলা ভাষা
মোদের গরব, মোদের আশা,আ-মরি বাংলা ভাষা!তোমার কোলে,তোমার বোলে,কতই শান্তি ভালোবাসা! কি যাদু বাংলা গানে!গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,গেয়ে গান নাচে
যতদূর বাংলা ভাষা
যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর এই বাংলাদেশ।দরিয়ানগরে জন্ম, পৃথিবীর সর্ব প্রান্ত আমার স্বদেশ।। এ বাংলার হাটে মাঠে, ধানীরং কিষাণীর বাটে,দিগন্তের মেঠোপথে,
আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব,আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক-বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা।ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
আবার ফুটেছে দ্যাখো কৃষ্ণচূড়া থরে থরে শহরের পথেকেমন নিবিড় হয়ে। কখনো মিছিলে কখনো-বাএকা হেঁটে যেতে যেতে মনে হয়- ফুল নয়,
বাংলাটা ঠিক আসে না
ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’, কথায়-কথায় হাসে নাজানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলেআমার
একুশের কবিতা
আজ আমি কোথাও যাবনা। আমি কিছু করবো না,আজসূর্যের পিয়ন এসে দরজায় যতো খুশী কড়া নেড়ে যাক,স্নান ঘরেঅবিরল ঝরুক শাওয়ার, ভেসে
মাতৃভাষা
আমি জানিনা দুঃখের কী মাতৃভাষাভালোবাসার কী মাতৃভাষাবেদনার কী মাতৃভাষাযুদ্ধের কী মাতৃভাষা।আমি জানিনা নদীর কী মাতৃভাষানগ্নতার কী মাতৃভাষাএকটা নিবিড় বৃক্ষ কোন