মহাদেব সাহা
খোকার সাধ
আমি হব সকাল বেলার পাখিসবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,‘হয়নি সকাল, ঘুমো এখন’- মা বলবেন
সাহেব ও মোসাহেব
সাহেব কহেন, চমৎকার! সে চমৎকার!মোসাহেব বলে, “চমৎকার সে হতেই হবে যে!হুজুরের মতে অমত কার? সাহেব কহেন, কী চমৎকার,বলতেই দাও, আহা
অভিশাপ
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে –বুঝবে সেদিন বুঝবে!ছবি আমার বুকে বেঁধেপাগল হয়ে কেঁদে কেঁদেফিরবে
নারী
সাম্যের গান গাই-আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।বিশ্বে যা-কিছু এল
ছুটি
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে,বাদল গেছে টুটি,আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,আজ আমাদের ছুটি।।কী করি আজ ভেবে না পাই,পথ হারিয়ে কোন্ বনে
আলাপ
ঘুমপাড়ানী ঘুমের দেশে ঘুমিয়ে দুটি আঁখি,মুখেতে তার কে দিয়েছে চাঁদের হাসি মাখি।পা মেজেছে চাঁদের চুমোয়, হাতের ঘুঠোয় চাঁদ,ঠোঁট দুটিতে হাসির
আমার নীরবতা আমার ভাষা
আমার হাতে কোনও শাবল ছিল না,বাটালিও নয়,তবু, এতদিন তিলে তিলে গড়ে তোলা দুর্গএক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল!আরওই বিশাল পাথুরে